বিডি ল নিউজঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসচাপায় তৌহিদুর রহমান টিটু নিহতের জের ধরে পুলিশ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষে তিন ছাত্র গুলিবিদ্ধসহ ১৫জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার বেলা ১২টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গাড়িচাপায় তৌহিদুর রহমান টিটু নিহত হন। তিনি বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ও ভাড়ায়চালিত কমপক্ষে ৪০টি গাড়ি ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দফায় দফায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে তিন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া আহত আরও ১২জন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (দুপুর দেড়টা) শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ এবং কিছু শিক্ষার্থী উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে তাদের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে ঝিনাইদহগামী বাস শিক্ষার্থীদের নেওয়ার জন্য মূল ফটকে দাঁড় করানো ছিল। টিটু একটি বাসের পেছন গেট দিয়ে ওঠার সময় বাসটি ছেড়ে যায়। এ সময় টিটু মাটিতে পড়ে গেলে পেছনে থাকা অপর বাসটি তাকে চাপা দেয়। এতে দেহ থেকে মাথা আলাদা হয়ে ঘটনাস্থলেই টিটুর মৃত্যু হয়।
তৌহিদুর রহমান টিটুর বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিসপুরে। তিনি প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতেন।
Discussion about this post