ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে চীনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ১৮ বছর পর এক তরুণকে নির্দোষ ঘোষণা করা হলো। হুগজিলতু নামের ওই তরুণকে ১৯৯৬ সালে ইনার মঙ্গোলিয়ায় এক আদালত মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। দণ্ড কার্যকরের পর ২০০৫ সালে সেই ঘটনায় আরেক ব্যক্তি দোষ স্বীকার করলে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
সোমবার হুগজিলতুকে নির্দোষ ঘোষণা করেন চীনের একটি আদালত। এক বিবৃতিতে আদালত বলেন, ‘হুগজিলতুকে দোষী সাব্যস্ত করে ইনার মঙ্গোলিয়ার আদালতের দেওয়া রায় বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়; এতে প্রমাণের অভাব ছিল। হুগজিলতু এঘটনায় দোষী নয়।’ খবর- এএফপি
১৯৯৬ সালে মামলার তদন্ত চলাকালে হুগজিলতুকে ৪৮ ঘণ্টা পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার এ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই নারী নিহত হওয়ার ৬১ দিনের মাথায় হুগজিলতুর দণ্ড কার্যকর করা হয়।
তবে হুগজিলতুর পরিবার আগে থেকেই তাকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করে আসছিলেন। সর্বশেষ গত নভেম্বরে মামলাটির পুনর্বিচারের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচার সে ঘটনার সঙ্গে হুগজিলতুর সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ না হওয়ায় তাকে নির্দোষ ঘোষণা করেন আদালত।
চীনে মৃত্যুদণ্ড বা অনেক বছর ধরে কারাভোগ করার পর নির্দোষ ঘোষণা ঘটনা এবারই প্রথম নয়। কয়েক মাস আগে ২০০৪ সালে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত দুই ব্যক্তিকে নির্দোষ ঘোষণা করেন আদালত।
এছাড়া স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৭ বছর ধরে কারাভোগ করা এক ব্যক্তিকে গত বছর নির্দোষ ঘোষণা করেন চীনের আনহুই প্রদেশের একটি আদালত।
হুগজিলতুকে নির্দোষ ঘোষণার ঘটনাটি চীনের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়টিকে আবারো বিতর্কের মুখে ফেলে দিলো
Discussion about this post