Saturday, May 10, 2025
  • Login
No Result
View All Result
Home
BDLAWNEWS.COM
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • সিলেট
    • রাজশাহী
  • জাতীয়
    • দেশ জুড়ে
    • রাজনীতি
    • অনিয়ম
    • দেশ ও দশ
    • একাদশ নির্বাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • আইন আদালত
    • উচ্চ আদালত
    • কোর্ট প্রাঙ্গণ
    • আইন সংস্থা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইনী ভিডিও
  • আইন পড়াশুনা
    • দৈনন্দিন জীবনে আইন
    • গুণীজন
    • মতামত
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • ইংরেজি
    • ব্লগ
  • আইন চাকুরী
  • সকল বিভাগ
    • ’ল’ ক্যাম্পাস
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য
    • মানবাধিকার
    • খেলাধুলা
    • বিনোদন
    • খেলাধুলায় আইন
    • একাদশ নির্বাচন
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইন সংস্থা
    • দেশ ও দশ
    • সদ্যপ্রাপ্ত
    • সর্বশেষ সংবাদ
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রংপুর
    • সিলেট
    • রাজশাহী
  • জাতীয়
    • দেশ জুড়ে
    • রাজনীতি
    • অনিয়ম
    • দেশ ও দশ
    • একাদশ নির্বাচন
  • আন্তর্জাতিক
  • আইন আদালত
    • উচ্চ আদালত
    • কোর্ট প্রাঙ্গণ
    • আইন সংস্থা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইনী ভিডিও
  • আইন পড়াশুনা
    • দৈনন্দিন জীবনে আইন
    • গুণীজন
    • মতামত
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • ইংরেজি
    • ব্লগ
  • আইন চাকুরী
  • সকল বিভাগ
    • ’ল’ ক্যাম্পাস
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য
    • মানবাধিকার
    • খেলাধুলা
    • বিনোদন
    • খেলাধুলায় আইন
    • একাদশ নির্বাচন
    • আইন জিজ্ঞাসা
    • যুগান্তকারী রায়
    • আইন সংস্থা
    • দেশ ও দশ
    • সদ্যপ্রাপ্ত
    • সর্বশেষ সংবাদ
No Result
View All Result
BDLAWNEWS.COM
No Result
View All Result
Home দৈনন্দিন জীবনে আইন
ঘুস বৈধ অবৈধ!

ঘুস বৈধ অবৈধ!

by বিডিলনিউজ
January 5, 2015
in দৈনন্দিন জীবনে আইন, শীর্ষ সংবাদ, সদ্যপ্রাপ্ত, সর্বশেষ সংবাদ
0
A A
0
36
VIEWS
Facebook

ঘুস বৈধ অবৈধ! (Bribe legal illegal!)
ঘুষকে স্পিডমানি (speed money) অভিহিত করে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘যা কোন কাজের গতি আনে, আমি মনে করি তা কোন অবৈধ বিষয় নয়, উন্নত দেশগুলোয় একে বৈধ করে দেওয়া হয়েছে ভিন্ন নামে।’ বিজিএমইএ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রধান অতিথির আসন অলংকার করে আরো বলেন, ‘কারো কাজ দ্রুত করে দিয়ে উপহার নিলে তা অবৈধ মনে করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আমি তা অবৈধ মনে করি না।’ এখন প্রশ্ন হলো ঘুষ কী এবং তা বৈধাবৈধ হওয়ার মানদণ্ডইবা কী?

ঘুস কী? “What is bribe?”
“ما هو رشوة؟” (মা হুয়া রাসুয়া?)
ঘুস বি ঘুষ, উৎকোচ, অবৈধ সহায়তার জন্য প্রদত্ত গোপন পারিতোষিক, bribe.
bribe n. an inducement offered in an attempt to bribe v. dishonestly persuade (someone) to act in one’s favour by a payment or other inducement. bribable adj. briber n. bribery n.

ঘুষ বা উৎকোচ ব্যাপারে শাস্ত্রীয় মূল গ্রন্থ-গ্রন্থিকার মধ্যে তেমন আলোচনা পাওয়া যায় না। তবে কুরানীদের হাদিসের মধ্যে কিছু আলোচনা পাওয়া যায়। নিচে তা তুলে ধরা হলো- মূল কথাটি হলো- “لعنة الله على الرشى و المرتشي” “ঘুষ দাতা এবং ঘুষ গ্রহিতার ওপর অভিশাপ।” “The curse the bribe giver and the bribe receiver.”

বাণীটির প্রমাণ (Evidence of this sayings)
১. “عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : لعنة الله على الراشي والمرتشي في الحكم – (رواه أحمد وأبو داود والترمذي)” “আবু হুরায়রা বলেছেন: ‘কাঁইদূত’ (কাঁই তাপিতের প্রতি শুভেচ্ছা) উৎকোচ-দাতা ও উৎকোচ গ্রহিতার ওপর অভিশাপ দিয়েছেন। হাকিমে বর্ণিত।” (আহমাদ, আবু দাউদ ও তিরমিযী কর্তৃক বর্ণিত)। “Abu Hurairah said- ‘Messenger of Lord’ (Regards the Lord-Heated)- The curse of the sweetener-donor and sweetener receiver hakeem described.” (Narrated by Ahmad, Abu Dawood and Tirmidhi).

২. “وعن عبد الله بن عمر قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : لعنة الله على الراشي والمرتشي – (رواه الترمذي)” “আবদুল্লাহ ইবনে উমর বলেছেন- ‘কাঁইদূত’ (কাঁই তাপিতের প্রতি শুভেচ্ছা) বলেছেন- “উত্কোচ-দাতা এবং উৎকোচ গ্রহিতার ওপর অভিশাপ।” (তিরমিযী বর্ণিত)। “Ibn Umar said, ‘Messenger of Lord’ (Regards the Lord-Heated) said- “The curse of the bribe donor and the bribe receiver.” (Narrated by Tirmidhi).

৩. “وعن ثوبان قال : لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم الراشي والمرتشي والرائش يعني الذي يمشي بينهما – (رواه أحمد)” “সাওবান বলেছেন- ‘কাঁইদূত’ (কাঁই তাপিতের প্রতি শুভেচ্ছা) এর অভিশাপ উৎকোচ-দাতা এবং উৎকোচ গ্রহিতার ওপর। তাদের উভয়ের ওপর চলমান।” (আহমদ কর্তৃক বর্ণিত)। “Saobana said: ‘Messenger of Lord’ (Regards the Lord-Heated) curse of the sweetener-donor and sweetener receiver. It runs on both of them.” (Narrated by Ahmad).

প্রচলিত আর্থ সামাজিক ব্যবস্থায় যে নৈতিক মানদণ্ডে ঘুসকে অবৈধ মনে করা হয় তার ভিত্তি কী? অর্থাৎ এ নৈতিকতার উৎস কী? তা কি ব্যক্তি, সমাজ, পরিবার, রাষ্ট্র এবং সবশেষে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের কোথাও কার্যকর আছে, না এর প্রয়োগ-প্রচলন আছে? তাহলে এ ‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব’ বা ‘সোনার পাথরবাটি’ নিয়ে এমন মতলববাজি ভণ্ডামির রহস্য কী?

এর প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করার জন্য আমাদের কিছুটা অতীত অবলোকন করে শাস্ত্রীয় মতবাদাদির উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ জানা প্রয়োজন।

আদিকাল হতে একের পর এক গুরু ও শিষ্যের মাধ্যমেই এ জ্ঞানের বিস্তারলাভ হয় বলেই, এ জ্ঞানকে পরম্পরাজ্ঞান বা সংক্ষেপে “পরম্পরা” নামে নামকরণ করা হয়। পরম্পরাজ্ঞানের ধারকবাহক গুরু গোঁসাইগণকে পারম্পরিক বলা হয়। কত বছর পূর্বে পরম্পরা জ্ঞানের উৎপত্তি হয়েছিল, তা সঠিকভাবে বলা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। তবে অনুমান করা যায় যে- মানবসভ্যতার- তৃতীয় যুগেই পরম্পরাজ্ঞানের উৎপত্তি হয়েছিল। ১.শূন্য ২.পদার্থ ৩.প্রস্তর ৪.ধাতু ৫.আদিম ৬.মধ্য ও ৭.আধুনিক- এ সপ্তম যুগের তৃতীয় যুগকে প্রস্তরযুগ বলা হয়। পাথর দ্বারা আগুন জ্বালানোসহ বন্য ও যাযাবর মানুষ জীবিকার সন্ধান পর্যন্ত পাথর দ্বারা করত বলেই এ যুগকে পাথরের যুগ বা প্রস্তরযুগ বল হয়। এ সময় হতেই যাযাবর মানুষ ক্রমেক্রমে দলবদ্ধ বা সঙ্গবদ্ধ জীবন যাপন আরম্ভ করে বলে ধারণা করা যায়।

এ যুগে একজন যেভাবে আগুন জ্বালাতো তার দেখাদেখি অন্যেরাও ঠিক সেভাবে আগুন জ্বালানো কৌশল অনুসরণ করত। এ যুগে একজন যেভাবে ইঁদুর মারা ও পাখি মারা বিতংস নির্মাণ করত তার দেখাদেখি অন্যেরাও ঠিক সেভাবে ইঁদুর মারা ও পাখি মারা পাশাদি নির্মাণ করত। মারণাস্ত্রের মধ্যে বর্শাকে অতি প্রচীন যন্ত্র বলা যায়। পাথর ঘষে একপার্শ্ব সূক্ষ্ম, মসৃণ ও সুচালো করে তার সাথে গাছের ডাল বেঁধে এটি নির্মাণ করা হতো। এ বর্শা দ্বারা হরিণ, শিয়াল, খরগোশ, সাপ, মাছ ও কচ্ছপ আখেটি করা হতো।

আগুন জ্বালানো, বিতংস ও বর্শা নির্মাণ, এসব কাজ তখন একজনের দেখাদেখি অন্যরা করত বা গুরু পরম্পরার মাধ্যমে করত সন্দেহাতীতভাবে এরূপ কথা বলা যায়। যে কোন জ্ঞান, যে যার থেকে অর্জন করে তাকেই তার উক্ত জ্ঞানের গুরু বলা হয়। এ হতেই বলা যায়- “যাযাবর মানুষের সঙ্গবদ্ধ ও দলবদ্ধ জীবন যাপনের সূচনা যখন পরম্পরাজ্ঞানের উদ্ভবও তখন।”

ঘর বাড়িহীন উন্মুক্ত আকাশের নিচে বসবাসকারী মানুষকে তখন সর্প ও হিংস্র জীবজন্তুর ভয়ে সর্বদা সতর্ক থাকতে হতো। পরিবারের কোন সদস্য অসুস্থ হলে তাকে সুস্থ করার মতো কোন ঔষধ জানা ছিল না তাদের। এসব কারণেই অনেক মানুষ একাকী জীবন ত্যাগ করে দলবদ্ধ ও সঙ্গবদ্ধ জীবনে আগমন আরম্ভ করে। ফলে সর্প ও হিংস্র জীবজন্তুর আক্রমণের হাত হতে আত্মরক্ষা করাও তাদের কিছুটা সহজ হতে থাকে।

দলবদ্ধ জীবন যাপনের জন্য মানুষকে সর্বদা দলপতি বা দলনেতার আদেশ ও নিষেধ মেনে চলতে হতো। দলনেতা তার বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতা দ্বারা দল পরিচালনা করতেন। কোন কোন দলে একাধিক দলনেতাও থাকত। কারণ একজন দলনেতা দলের যুবক পুরুষদের নিয়ে খাবার অন্বেষণের জন্য বনে বা নদীতে আখেটি করতে গেলে আশ্রমের নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের পরিচালনা করার জন্য আরেকজন দলনেতা অবশ্যই প্রয়োজন হতো। অন্যথায় এ সময় হিংস্র জীবজন্তু আক্রমণ করলে তাদের সর্বনাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকত অধিক। আত্মরক্ষার মাধ্যম ও মারণাস্ত্র ব্যতীত তখন দল পরিচালনা করা ছিল অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। এ কঠিন কার্যাদি করার জন্যই দলনেতা বা দলপতিগণ আবিষ্কার করেন অন্ধবিশ্বাস অস্ত্র। তারা সর্ব প্রথমে ১.একজন সৃষ্টিকর্তা ২.একজন পালনকর্তা ৩.একজন সংহারকর্তা ৪.একজন করে আদিমানব-আদিমানবী ৫.স্বর্গ ও ৬.নরক- এ ছয়টি উপাদান নির্মাণ করেন। অতঃপর দুষ্টদের প্রয়াণোত্তর নরকের শাস্তির ভয় ও শিষ্টদের স্বর্গের পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে দলপতিরা তাদের দল শাসন ও পরিচালনা করতে আরম্ভ করেন। এ অন্ধবিশ্বাস অস্ত্র প্রয়োগ করে দল শাসন ও পরিচালনার সুনাম দল হতে দলান্তরে ছড়িয়ে পড়ে। দিনের পর দিন এর ব্যবহারও ব্যপকহারে বাড়তে থাকে। এটি ছিল তখন তাদের যুগান্তরকারী আবিষ্কার।

এ ছয়টি সদস্যকে বীজরূপে গ্রহণ করে পরবর্তিতে নির্মিত হয় রূপক সাহিত্য। যেমন- বেদ, রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ, ত্রিপিটক ইত্যাদি গ্রন্থ। এ সময় এরূপ দুর্লভ সাহিত্যাদি রচনা করার মধ্যে দিয়ে পরম্পরাজ্ঞানাদি চরম পরমরূপলাভ করে। প্রস্তরযুগের মহান মনীষীগণ যে পরম্পরাজ্ঞানের আবিষ্কার করেছিলেন ধাতুর যুগে এসে সে জ্ঞান সারাবিশ্বে বিস্তারলাভ করে। বেদ, রামায়ণ ও মহাভারতের রচনার সময়কেই আত্মদর্শনের সোনালী সময় বলা যায়। কারণ এর পর পরই পরম্পরাজ্ঞানকে ছুরিকাঘাত করে রূপক সাহিত্যের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠে শাস্ত্রীয় মতবাদ। সময়ের ব্যবধানে শাস্ত্রীয় মতবাদ নামক এ অন্ধবিশ্বাস শিল্পটি আবারো বিশ্বব্যাপী খ্যাতিলাভ করে। তবে অল্প দিনের মধ্যে এ অন্ধবিশ্বাস শিল্পটি মানুষ শাসন ও শোষণের কলকাঠিতে পরিণত হয়। রূপক স্বর্গের লোভ ও রূপক নরকের ভয় দেখিয়ে এক শ্রেণির স্বাথান্বেষী ও ধুরন্ধর গোষ্ঠী রাতারাতি অর্থের পাহাড় গড়ে তুলতে থাকে। অন্ধবিশ্বাসনির্ভর এ শিল্পটির রমরমা ব্যবসা দেখে গড়ে উঠতে থাকে একের পর এক শাস্ত্রীয় মতবাদ। গবেষকগণ বলে থাকেন অন্ধবিশ্বাসনির্ভর এরূপ শাস্ত্রীয় মতবাদের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ২৫০০টির অধিক। প্রায় এক হাজার (১,০০০) খ্রিস্ট পূর্বাব্দ হতে প্রায় দুই হাজার (২,০০০) খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে শাস্ত্রীয়যুগ বলা যায়। এ সময়ের মধ্যেই শাস্ত্রীয় মতবাদাদির উৎপত্তি ও নিষ্পত্তি হয়। অতঃপর একবিংশ শতাব্দি হতে সূচনা হয় আধ্যাত্মিক যুগের। আর এ যুগের শুভ সূচনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আত্মতাত্ত্বিক বলন কাঁইজি।

অন্ধবিশ্বাসের বিষবৃক্ষ রোপণ
(Transplanting the venom-tree of fanaticism)
সর্ব প্রথমে রূপক সাহিত্য শিল্পের সূত্রাদির দ্বারা বিশ্ববিখ্যাত একজন রূপকার কর্তৃক একটি রূপক সাহিত্য নির্মিত হয়। তারপর কয়েকশত বছর বা কয়েক শতাব্দি অতিবাহিত হয়। অতঃপর আধ্যাত্মিকজ্ঞান বা আত্মতত্ত্ব জ্ঞানহীন পণ্ডিতব্যক্তি অতিব পুণ্যের কাজ মনে করে উক্ত রূপক সাহিত্যটির আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বা আত্মতত্ত্বভিত্তিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ব্যতীত কেবল বাহ্য প্রকৃতিনির্ভর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ প্রণয়ন করা আরম্ভ করে। অন্ধবিশ্বাসপ্রবণ মূঢ় ব্যক্তিরা দিব্যজ্ঞানের দৈন্যতার জন্য রূপক সাহিত্যের প্রপকাদির মধ্যে ব্যবহৃত দৈবিকা বা প্রতীতিদের হঠাৎ করে ঐশিদূত বা দৈবদূত বা ঐশিমহামানব বা স্বর্গীয়াবতার বলে আখ্যায়িত করতে আরম্ভ করে। তারপর নীতি নৈতিকতাপূর্ণ ও আত্মশুদ্ধির পরম শিক্ষামূলক প্রপকাদিকে চমৎকার বলে এবং দৈবিকা বা প্রতীতিদের চরিত্রকে বাস্তব জীবনাদর্শ বলে প্রচার প্রসার করতে বা লেখালেখি করতে আরম্ভ করে।

পরবর্তিকালে তার পাঠক বা অনুসারীরাও প্রপকাদির মধ্যে চরিত্ররূপে ব্যবহৃত প্রতীতিদেরকে স্বর্গীয়দূত, প্রপকাদিকে স্বর্গীয়দূতগণের ঘটনাবহুল চমৎকার এবং প্রপকাদির মধ্যে বর্ণিত ঘটনাদিকে প্রতীতিগণের বাস্তব জীবনাদর্শ বলে অন্ধবিশ্বাস করতে আরম্ভ করে। এভাবেই সর্ব প্রথম অন্ধবিশ্বাসরূপ বিষবৃক্ষের বীজ রোপিত হয়। অতঃপর দৈবিকা বা প্রতীতিগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার কারণে তার অনুসারীরা প্রপকাদির প্রচার ও প্রসার করা অনেক পুণ্যের কাজ বলে মনে করে। এভাবেই সুসংগঠিত হতে থাকে একটি সম্প্রদায়। কয়েক শতাব্দি পরে এটি একটি বড় দলে পরিণত হয়ে যায়। সাথে সাথে সঞ্চিত হতে থাকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নীতিমালা। অতঃপর থরে-বিথরে সঞ্চিত নীতিমালা একত্রিত করে গড়ে উঠে একটি শাস্ত্রীয় মতবাদ। অভিনবরূপে নির্মিত শাস্ত্রীয় মতবাদ ও শাস্ত্রীয় নীতিমালা গ্রহণকারী শাস্ত্রীয় অনুসারীর সংখ্যাও দিনের পরদিন বাড়তে থাকে।

একটি রূপক সাহিত্য নির্মাণের কয়েক শতাব্দি পর এভাবেই ঐ সাহিত্যটির ওপর নির্ভর করে এক বা একাধিক শাস্ত্রীয় মতবাদ বা শাস্ত্রীয় সম্প্রদায় আত্মপ্রকাশ করে থাকে। অন্ধবিশ্বাসরূপ এ বিষবৃক্ষের ডালপালা যুগেযুগে চারদিকে কেবল বাড়তেই থাকে। বিষবৃক্ষরূপ এ দ্রুতগামী ঘোড়াটি একদিন সারাবিশ্বে পরিভ্রমণ করতে সক্ষম হয়। এভাবেই অন্ধবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত শাস্ত্রীয় মতবাদরূপ বিষবৃক্ষের ছায়া একসময় সারাবিশ্বব্যাপী পতিত হয়।

মানবসভ্যতার ঊনবিংশ শতাব্দিতে দার্শনিক ও বিজ্ঞানীরা এ অন্ধবিশ্বাসের ঘোড়ার পিঠে চড়েই অতিক্রম করেছেন। এ দ্রুতগামী ঘোড়ার পিঠে আরোহণ করেই তারা তাদের সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তার অন্বেষণ করছিলেন। গত ঊনবিংশ শতাব্দির পূর্বে দীর্ঘ আড়াই হাজার বছর এভাবেই অতিবাহিত হয়েছিল। তখন অধিকাংশ দার্শনিক ও বিজ্ঞানী ধারণা করতেন যে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে পরিভ্রমণ করে। কিন্তু আজ অন্ধবিশ্বাসের সে লৌহনিগড় কেটে ও অন্ধবিশ্বাসের কাল্পনিক ঘোড়াটিকে হত্যা করে আধুনিক বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে না বরং পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে ঘুরে।

শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ পদ্ধতি
(Construction methodology of schismatic doctrine)
বিশ্বের যে কোন একটি রূপক সাহিত্যকে কেন্দ্র করে একটি শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ করতে হলে এবং তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হলে একজন সুবিজ্ঞ শাস্ত্রীয় মতানুসারীকে উক্ত রূপক সাহিত্যটি হাতে নিয়ে অবশ্যই বলতে হবে যে এসব কোন মানুষের নির্মিত বাণী নয় বরং এসব স্বয়ং স্রষ্টার পক্ষ হতে মহামানবের নিকট অবতীর্ণ। তাকে আরো বলতে হবে যে, কেবল স্রষ্টার পক্ষ হতে প্রতীতির নিকট যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছিল তিনি কেবল তা-ই প্রকাশ করে ছিলেন। এ পবিত্র গ্রন্থের মধ্যে মানুষের নির্মিত বা রচিত কোন বাণী নেই। কারণ মানুষের নির্মিত বাণী এমন হতে পারে না। আর মানুষ যদি এরূপ বাণী রচনা করতে পারতেন, তবে বিশ্বে অনেকেই এরূপ বাণী নির্মাণ করে দেখাতেন। কেউ শতবছর চেষ্টা করলেও এরূপ একটি বাণী নির্মাণ বা রচনা করতে অবশ্যই পারবেন না। এবার শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাতা শাস্ত্রীয় মতানুসারী ব্যক্তির উচিৎ যে সর্ব প্রথমে উক্ত রূপক সাহিত্যের মৌলিক সদস্যদের (The basic elements of ‘Fabulous literature’. দি বেসিক ইলিমেন্টস ওফ ফ্যাবুলাস লিটারেচার)। যথা- ১.আদিমানব, ২.আদিমানবী, ৩.বর্থ্য, ৪.সাংবাদিক (১-৩), ৫.সৃষ্টিকর্তা, ৬.পালনকর্তা, ৭.সংহারকর্তা, ৮.দৈবকর্মী, ৯.মুক্তি, ১০.স্বর্গ ও ১১.নরক- এ এগার (১১)টি সদস্যের জীবনযাপন প্রণালি, আকার প্রকার, আয়তন অবস্থান, আবাস নিবাস, বংশসারণী, সংখ্যা পরিমাণ ও কার্যক্রম যেক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য তা নির্ধারণ করা। অতঃপর স্রষ্টাদের সম্মেলন ও দৈব সম্মেলন দ্বারা প্রয়োজনীয় সংস্কার করা আরম্ভ করা।

এক্ষেত্রে শাস্ত্রীয় মতবাদী পণ্ডিতকে সদস্যদের জীবনী, বংশ, জন্মস্থান, অবস্থান ও আকার প্রকার নির্মাণের সময় অবশ্যই স্বাতন্ত্রতা রক্ষা করতে হবে। যাতে অন্যান্য শাস্ত্রীয় মতবাদের সদস্যদের ছদ্মনাম বা রূপক উপমাদির সাথে মিলে না যায়। একটি নতুন শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণের ক্ষেত্রে তার অভিনবত্ব অটুট রাখার জন্য নিচে শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণের একটি অভিনব মৌলিকসদস্য নির্ঘণ্ট জানা একান্ত প্রয়োজন। (তথ্যসূত্রঃ পরম্পরাতত্ত্ব ভেদ ১ম খণ্ড)।

আমাদের আলোচ্য ঘুসের অন্যনাম উপহার। ঘুসকে রূপক সাহিত্যে উপহার নামেই অভিহিত করা হয়। নিচে উপহারের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

উপহার (Gifts/ ‘ﻫﺪﻴﺔ’ (হাদিয়া)
এটি রূপক সাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির মূলক-পরিবারের একটি অন্যতম‘মূলকসদস্য’ এবং ‘উপহার’ পরিবারপ্রধান বিশেষ। এর রূপক পরিভাষা‘দক্ষিণা’, উপমান পরিভাষা ‘সম্প্রদান’ এবং ছদ্মনাম পরিভাষা ‘পণ’। এটি একটি ‘রূপক-প্রধান’ সত্তা।

উপহার বি পুরস্কার, উপঢৌকন, পারিতোষিক, Gifts, ‘ﻫﺪﻴﺔ (হাদিয়া) (আবি)নৈবেদ্য, ভিক্ষা, ভোগ, যৌতুক (আপ) তুহফা (আ.ﺘﺤﻔﺔ), সদক্বা (আ.ﺼﺪﻘﻪ), হাদিয়া (আ.ﻫﺪﻴﺔ) (ইপ) present (পরি) কোন প্রকার শ্রমের বিনিময় ব্যতীত যা কিছু প্রদান করা হয় তাই উপহার (দেপ্র) এটি রূপক সাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির ‘উপহার’ পরিবারপ্রধান ও রূপক সাহিত্যের একটি ‘মূলকসদস্য’ বিশেষ (সংজ্ঞা) উপঢৌকনরূপে প্রদত্ত বস্তু-সামগ্রীকে উপহার বলা হয় (ছনা) পণ (উপ)সম্প্রদান (রূ) দক্ষিণা (দেত) উপহার।

উপহারের সংজ্ঞা (Definition of Gifts)
সাধারণত উপঢৌকনরূপে প্রদত্ত বস্তুসামগ্রীকে উপহার বলে।

উপহারের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theosophical definition of Gifts)
সাধনার ফলরূপে প্রাপ্ত বস্তু-সামগ্রীকে উপহার বলে।

উপহারের প্রকারভেদ (Classification of Gifts)
উপহার দুই প্রকার। যথা- ১.জাগতিক উপহার ও ২.স্বর্গীয় উপহার।
১. জাগতিক উপহার (Mundane Gifts)
সাংসারিক কার্যক্ষেত্রে একে অন্যকে প্রদত্ত উপঢৌকনাদিকে জাগতিক উপহার বলে। যেমন- প্রিয়জনকে কিছু সম্প্রদান করা।
২. স্বর্গীয় উপহার (Divine Gifts)
মানবদেহ হতে প্রাপ্ত পবিত্র জীবজলকে স্বর্গীয় উপহার বলে। যেমন- দুগ্ধ।

উপহারের উপকার (Benefits of Gifts)
১. বিশেষ বিশেষ দিনে একে অন্যকে কিছু উপহার প্রদান করলে সম্প্রীতি প্রেম ও ভালবাসা আরো গভীর হয়।
২. উপহার পাওয়ার আশায় কার্য সম্পাদক আরো মনোযোগের সাথে কাজ করে দেয়।

উপহারের পরিচয় (Identity of Gifts)
এটি রূপক সাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির ‘উপহার’ পরিবারের ‘মূলকসদস্য’বিশেষ। পরিশ্রম ব্যতীত কাউকে সম্প্রদানকৃত দ্রব্যকে উপহার বলা হয়। আদিকাল হতে একে অন্যকে উপহার প্রদানের ধারা মানুষ পরম্পরায় আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। ক্ষেত্রানুসারে উপহারের নামও ভিন্নভিন্ন লক্ষ্য করা যায়। যেমন-
১. দৈবিকা বা প্রতীতিকে কোন উপহার দিলে তাকে বলে ভোগ।
২. অপরাধী বা অভিযুক্তকে প্রাপ্য উপহার দিলে তাকে বলে শাস্তি।
৩. বিবাহে বরপক্ষ কনে পক্ষকে উপহার দিলে তাকে বলে পণ।
৪. নতুন জামাতাকে কোন উপহার দিলে তাকে বলে মান।
৫. নিরাকার উপাস্যকে কোন উপহার দিলে তাকে বলে উৎসর্গ।
৬. ভিক্ষুককে কোন কিছু উপহার দিলে তাকে বলে ভিক্ষা।
৭. দরিদ্রদেরকে কোন কিছু উপহার দিলে তাকে বলে সম্প্রদান।
৮. কোন যজ্ঞে বা পূজায় কোন উপহার দিলে তাকে বলে নৈবেদ্য।
৯. শিষ্য গুরুকে কোন উপহার প্রদান করলে তাকে বলে গুরুদক্ষিণা।
১০. কোন কর্মজীবী স্বকর্মে অবস্থান করে কোন কাজ করে দিলে তাকে যে উপহার প্রদান করা হয় তাকে বলে উৎকোচ বা উপরি।
১১. কোন রোগী চিকিৎসককে কোন কিছু উপহার প্রদান করলে তাকে বলে দর্শনী।
১২. প্রজা রাজাকে কোন কিছু উপহার প্রদান করলে তাকে বলে উপঢৌকন।
(তথ্যসূত্রঃ আত্মতত্ত্ব ভেদ (৪র্থ খণ্ড))

পরিশ্রমের বিনিময়ে কোন কিছু প্রদান করা হলে তাকে বেতন, মূল্য, পারিশ্রমিক বা ভাড়া বলে কিন্তু কোন পরিশ্রম ব্যতীত সৌজন্যমূলক কোন কিছু সম্প্রদান করলে তাকেই উপহার বলে। এই উপহারই হলো আমাদের আলোচ্য ঘুস।

(সংক্ষিপ্ত সংকলন)
তথ্যসূত্রঃ সমকালীন আত্মভাবনা
লেখকঃ আশীব কাঁইজি

Next Post
শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা তারেকের

শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা তারেকের

Discussion about this post

নিউজ আর্কাইভ

May 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
« Oct    
Facebook Youtube RSS


সম্পাদক: এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম,
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

অফিস ঠিকানাঃ

বকাউল ম্যানশন, ৩য় তলা, সেগুন বাগিচা মোড়, ৪২/১/খ, সেগুন বাগিচা, ঢাকা - ১০০০ ।
মোবাইলঃ 01842459590

© 2021 BDLAWNEWS.COM - A News portal founded by A.B.M. Shahjahan Akanda Masum.

No Result
View All Result
  • আন্তর্জাতিক
  • ’ল’ ক্যাম্পাস
  • অনিয়ম
  • অন্যান্য
    • একাদশ নির্বাচন
    • খেলাধুলায় আইন
    • আইন চাকুরী
    • আইন জিজ্ঞাসা
  • আইন পড়াশুনা
  • আইন সংস্থা
  • আইন-আদালত
  • আইনী ভিডিও
  • ইংরেজি
  • উচ্চ আদালত
  • কোর্ট প্রাঙ্গণ
  • খেলাধুলা
  • গুণীজন
  • জাতীয়
  • জেলা আইনজীবী সমিতি
  • দেশ ও দশ
  • দেশ জুড়ে
  • অপরাধ
  • দৈনন্দিন জীবনে আইন
  • বাংলাদেশ
    • খুলনা
    • চট্টগ্রাম
    • ঢাকা
    • বরিশাল
    • ময়মনসিংহ
    • রাজশাহী
    • বগুড়া
  • বিনোদন
  • ব্লগ
  • মতামত
  • মানবাধিকার
  • রাজনীতি
  • লিগ্যাল নোটিশ
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • শীর্ষ সংবাদ
  • সাক্ষাৎকার
  • যুগান্তকারী রায়

© 2021 BDLAWNEWS.COM - A News portal founded by A.B.M. Shahjahan Akanda Masum.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In