মহানবি হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন পালনকে বিদআত বলেছেন সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল শেখ । তিনি এটাকে কুসংস্কার এবং অবৈধভাবে ধর্মে প্রবেশ করানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
গত শুক্রবার রিয়াদের ইমাম তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ মসজিদে দেওয়া খুতবায় তিনি এ কথা বলেন। গ্রান্ড মুফতি বলেন, মহানবি (সা.)-এর জন্মদিন পালন করাটা বিদআত। এটাকে ইসলাম ধর্মে নতুন করে প্রবেশ করানো হয়েছে।তিনি বলেন, মহানবি (সা.)-এর সুন্নতের শিক্ষার অনুসরণ করাটা আমাদের মুসলমানদের জন্য বাধ্যকতা।
জন্মদিন পালনকারীদের শয়তান মন্তব্য করে গ্রান্ড মুফতি বলেন, যারা অন্যদের মহানবি (সা.)-এর জন্মদিন পালন করে তারা শয়তান ও দুষ্ট। আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা সেটাই, যার মাধ্যমে নবিজির (সা.) পদাঙ্ক অনুসরণ করা হয়, তার সুন্নতকে মানা হয়। আর এভাবেই নবীর (সা.) প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা উচিত।
খুতবায় মুফতি বলেন, আল্লাহ বলেছেন, ”বলুন, তোমরা যারা আল্লাহকে ভালোবাসো, তারা আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং পাপগুলোকে ক্ষমা করে দেবেন।” তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল হিসেবে মহানবি (সা.)-এর অনুসরণ করা সব মুসলমানের কর্তব্য। তাকে ভালোবাসা ও সম্মান করা মুসলমানদের দায়িত্ব।
খুতবায় মুফতি বলেন, যারা মহানবি (সা.)-এর শিক্ষার অপপ্রচার করে, যে সমস্ত নাস্তিকরা তাকে অবজ্ঞা করে এবং যারা তাকে অসম্মান করে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোও মুসলমানদের দায়িত্ব। যারা সত্যিকার অর্থে নবিকে (সা.) ভালোবাসে তাদের এটা করতে হবে।
তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ”বলুন, যদি তোমাদের বাবা, তোমাদের পুত্র, তোমাদের ভাই, তোমাদের বন্ধু, তোমাদের পরিবার, যেসব সম্পদ তোমরা অর্জন করেছ, যে সমস্ত ব্যবসার ক্ষতির আশঙ্কা তোমরা কর অথবা সে সমস্ত বসত যেখানে তোমরা অবস্থান কর সেগুলো যদি আল্লাহ ও তার রাসুল কিংবা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করার চাইতেও তোমাদের কাছে প্রিয় মনে হয়, তবে আল্লাহর সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর। আল্লাহ অবাধ্যদের পথ দেখান না”।
সূত্র : আল-আরব নিউজ




Discussion about this post