বিডি ল নিউজঃ ভারত বনাম পাকিস্থান ক্রিকেট মানেই হল সব বাদ শুধু ঐ ম্যাচটাই দেখতে হবে। টিভির টিআরপি থেকে মাঠের গ্যালারী কোথাও উত্তেজনা নেই। সব ম্যাচ হিসেব করলে হয়ত দুই দল সমান সমান ম্যাচ জিতেছে। তবে, বিশ্বকাপ শব্দটা যতবারই এসেছে, পাকিস্থান ততবারই ভারতের কাছে হেরেছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারত-পাকিস্তান এ পর্যন্ত পাঁচবার মুখোমুখি হয়। ১৯৯২, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০১১ সালে। প্রতিবারই লড়াই হয়েছে দারুণ। কে হারবে কে জিতবে এই ছিল ম্যাচ গুলোর চিত্র। তবে প্রতিবারই ভারতের কাছে পরাজয় বরণ করে পাকিস্তান।
আসন্ন বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে অ্যাডিলেডে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। ওই ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ইতিহাস বদলাবে পাকিস্তান,এমনটাই মনে করছেন দেশটির নন্দিত অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদি। এই মুহূর্তে বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন আফ্রিদি অ্যান্ড কোং। সেখানে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিতে হবে ভারতের কাছে। সেই ম্যাচ নিয়ে আফ্রিদির ভাষ্য,‘বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ভারতকে হারাতে পারিনি আমরা।
কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই ভারতকে হারিয়ে আমরা ইহিতাস বদলে দেব। দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান এই গ্লানি নিয়ে আছে। এছাড়া শিরোপাও বেশ আগে আর্জন করেছে পাকিস্তান বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া খুবই বিপজ্জনক দল। এ ছাড়া আসন্ন বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডও ত্রাস ছড়াবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেভাবে পাকিস্তানকে হারিয়েছে,ঘরের মাঠেও একই ফল নিয়ে আসতে চাইবে তারা। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাও ফেবারিটের তালিকায় থাকবে। আফ্রিদি বলেন, আমরা ১৯৯২ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে শিরোপা ঘরে নিতে চাই। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান ইমরান খানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপের শিরোপা লাভ করে।
আফ্রিদির এটা শেষ বিশ্বকাপ। হয়ত সেই আবেগ থেকেই এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে, আরেকটা কথায় মাথায় রাখতে হয়, আফ্রিদি আগে থেকে যেসব চ্যালেঞ্জ করেন, তার কোনটাই তিনি অপূর্ণ রাখেন নি। গত বিশ্বকাপেও সচিনকে সেঞ্চুরি করতে দিবেন না বলেছিলেন, ঠিকই ৮৭ রানের মাথায় আউট করেছেন। তবে, দেখা যাক এইবার ধোনির দলকে হারাতে পারেন কিনা আফ্রিদি?
Discussion about this post