বিডি ল নিউজঃ
রাজনৈতিক সঙ্কট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নতুন কৌশল নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং একইসঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামা ঠেকাতে এই কৌশল নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের নতুন এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ধরো’।
ডিএমপি সূত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারি যাতে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা মাঠে না নামতে পারে সেজন্য পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। বিরোধীদের রাজপথ দখলের যে কোনও চেষ্টা যেন নস্যাৎ করে দেওয়া হয় সে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাই বিশেষ এই নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ৪৯টি পুলিশ স্টেশন ও ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ বিএনপি জামায়াত নেতাদের তালিকা তৈরি করেছে। বিশেষ করে তাদের নাম তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে যারা বিভিন্ন মামলায় আসামি কিন্তু পলাতক। এই তালিকা সামনে রেখেই পরিচালিত হচ্ছে এই অভিযান। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও জামায়াত বিএনপি নেতাকর্মীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গত শনিবারের পর রাজধানীতে অন্তত ২০০ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সূত্র জানিয়েছে, তালিকার সব ব্যক্তি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। ৫ জানুয়ারির আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে। গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। অবরুদ্ধ করা আছেন দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এছাড়া বিএনপির শীর্ষ নেতা মির্জা আব্বাস, খায়রুল কবির খোকন, এসএ খালেক, হাবিব-উন নবী সোহেলসহ বেশ কয়েকজন নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে ডিবি পুলিশ।
অপারেশন ধরোর সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিবি কর্মকর্তা বলেন, তালিকায় না থাকা নেতাদের অনেককেই গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। কারণ তারা সবাই আত্মগোপনে আছেন। তিনি বলেন, তাদের কেউই বাসায় থাকছেন না। তবে আমরা তাদের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।একটি সূত্র জানিয়েছে ডিবি পুলিশ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ফোনে আড়ি পাতছেন। গত ১০ম সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত কর্মীরা দেশের প্রায় সবগুলো জেলা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তবে রাজধানীতে কড়া নিরাপত্তার কারণে তারা পেরে উঠেনি।
এই অপারেশনের বিষয়ে ডিবি পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনও ধরণের ব্যবস্থা নেবে।’
Discussion about this post