বিডি ল নিউজঃ
রাজশাহীর পুঠিয়া-বানেশ্বর বাজারে আ’লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় পৃর্থক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে পুঠিয়া থানায়। এতে চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির চাঁদসহ ১৫ জন নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ এবং করে আরো অজ্ঞাতনামা ৭ হাজার জনকে আসামী করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার এড়াতে দুই উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। এ দিকে আসামীদের আটক করতে পুঠিয়া থানা পুলিশ ও চারঘাট থানা পুলিশের সহয়তায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, বানেশ্বরে সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার রাতে পুঠিয়া থানায় পৃর্থক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো অজ্ঞাতনামা ৭ হাজার জনকে আসামী করা হয়েছে। তবে আইনী জটিলতা থাকায় এই মূহূর্তে আসামীদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চাঁদের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন বানেশ্বর বাজারে।
সে সময় পুঠিয়া উপজেলা আ’লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের মাঝে ত্রি-মূখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এক সময় গোলা গুলি এক বিএনপি কর্মী মারা যায়। উভয় গ্রæপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষে দুই জন পুলিশ সদস্য, ৪জন সাংবাদিকসহ উভয় দলের অর্ধ-শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। সে সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়াসেল নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক প্রায় আড়াই ঘন্টা সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
Discussion about this post