বিডি ল নিউজঃ আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বীরউত্তম খাজা নিজামউদ্দিন মিলনায়নের দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার প্রতিহিংসার রাজনীতি, সরকারের করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিএনপি স্থায়ী কমিটির কথার সঙ্গে একই সুরে কথা বলছেন কিছু সিনিয়র আইনজীবী বুদ্ধিজীবী।’
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়টিও এ সময় উড়িয়েও দেন তিনি।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নেই উঠে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের (বিএনপি) সঙ্গে কীসের সংলাপ। এরা যা করবে এদের সঙ্গে তাই করতে হবে। যেমন কুকুর, তেমন মুগুর।’
নিজ বক্তব্যে বিজিবি প্রধানকে ধন্যবাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিজিবি প্রধানকে আমি স্যালুট জানাই। তার বক্তব্যের সমালোচনা করছে কিছু তথাকথিত আইনজীবী ও বুদ্ধিজীবী। এরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সুরে কথা বলে।’
বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে কামরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত। একটি হল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আরেকটি বিভক্তের শক্তি। এই বাস্তবতাটা যারা স্বীকার করে না, তারাই দেশের তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী। এরাই আজকে বিএনপির খোরাক। বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছে এ সমস্ত বুদ্ধিজীবী।’
তিনি আরও বলেন, ‘ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নাকি তৃতীয় শক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের একটি শক্তি যদি দাঁড় হয় তবে তো ভাল কথা।’
বিএনপিকে উদ্দেশে করে কামরুল বলেন, ‘এক সপ্তাহ কী দশ দিন পরে আন্দোলনের নামও নিতে পারবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এর জন্য যা যা করার তাই করবে। আপনারা মনে করেছেন বিদেশী বন্ধুরা এগিয়ে আসবে। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসবে না।’
বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কে কথা দিয়েছিল, কোথায় চুক্তি হয়েছিল। কোথায় পাইলেন এই কথা। আপনাদের সঙ্গে কি কোনো কথা হয়েছিল যে আমরা মাঝখানে নির্বাচন করব। ২০১৯ সালে যে নির্বাচনে আপনারা আসবেন সেই গ্যারান্টি কি এখনই দেব না-কি।’
নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে হবে। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। এই সকল সন্ত্রাসীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করবেন। এটা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির সঙ্গে আমাদের একটা যুদ্ধ। খালেদা জিয়া যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন নাট্য অভিনেতা ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতা ড. ইনামুল হক। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতা ডা. কামরুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আকতারুজ্জামান, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, হেদাতুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
Discussion about this post