বিডি ল নিউজঃ
বিএনপির চলমান আন্দোলনের চূড়ান্ত গন্তব্য কি এবং এর শেষ কেমন করে হবে এটা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া আর কেউ জানেন না। সব পরিকল্পনা আগে ভাগে বলে দিলে সকল পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা এটা প্রকাশ করছেন না। গোপনীয়তা রক্ষা করছেন। সূত্র জানায়, তাদের আশঙ্কা দলের ভেতরেও কিছু কিছু নেতা আছেন যারা সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছেন। পাশাপাশি সরকারি দলের নেতাদের সঙ্গে ব্যবসা করছেন। তারা সব আগে জেনে গেলে ব্যবসায়ীক সম্পর্কের কারণেই গোপনীয়তা ফাঁস করে দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আর বিএনপির আন্দোলন সফল করার জন্য সেই সব নেতারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে সক্রিয় নেতাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে যে সব নেতারা সামনে ছিলেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে যারা বাইরে আছেন তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হতে পারে। সব তথ্য সরকারের বিভিন্ন বাহিনী বের করার চেষ্টা করবে। এই আশঙ্কা থেকে এবার পরিকল্পনার কথা দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা শমসের মুবীন চৌধুরীকে বলেননি। অন্য নেতারাও জানেন না। সরকার মনে করেছিল ওই নেতা অন্তত সব জানবেন। কিন্তু তারা জানেন না। এই কারণে তাদের কাছ থেকে সরকার বিশেষ কোন তথ্য পায়নি। এই ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, তাদের আন্দোলনের কৌশল কোন নেতাকে বলছেন না। আগে ভাগে কিছু বলা হলে ২০১৩ সালের মতো লক্ষ্য সফল নাও হতে পারে। ব্যর্থ হয়ে যাবে সব পরিকল্পনা। এই কারণে চলমান আন্দোলনে কখন কি করতে হবে সেটা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আলোচনা করেই ঠিক করছেন। তাদের মধ্যে আলোচনা ও কথা হচেছ প্রতিদিন। যদিও সরকার বিএনপির নেতা কর্মীদের যাতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও তারেক রহমান নির্দেশ দিতে না পারেন এবং দেশের পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য যাতে করে কোন ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেই জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই জন্য ভাইবার ও টেঙ্গো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, তা দিলেও এখনও পর্যন্ত এই ধরনের আরো তিনটি মাধ্যম রয়েছে যা দিয়ে তারেক রহমান লন্ডন থেকে তার মা ও মাঠের বিএনপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। খালেদা জিয়া জেলা, উপজেলার নেতাদের নির্দেশ দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। সূত্র জানায়, বিএনপি এবার কোন ধরনের ছাড় দিবে না। তারা মনে করছে এখনই আন্দোলন সফল করার ও দাবি আদায়ের সুযোগ। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চান। সেটা লাগাতে হলে অবশ্যই সরকারের পাতা কোন ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। দিলে আন্দোলন ব্যর্থ হবে। সরকারি দলের একজন নেতা সংলাপের পূর্বাভাস দিয়েছেন। এটাকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। তারা মনে করছেন, সংলাপ করতে হলে অবশ্যই সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়ে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিলে বলতে হবে কবে কখন সংলাপ হবে। কার সঙ্গে হবে। সেটা না বললে সমস্যা হতে পারে। বিএনপি সংলাপে বসার জন্য তৈরি। তবে তারা এই আলোচনা করতে চান আন্দোলন বহাল রেখেই। কর্মসূচি স্থগিতও করতে রাজি নন। মনে করছেন সংকটের সমাধান হলে সেটা হবে কেবল বিএনপির দাবি মেনে নিলেই। এরমধ্যে আগাম নির্বাচন করতেই হবে। নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। আর নিদর্লীয় সরকারের বিষয়টিও মেনে নিতে হবে। না হলে কোন সমঝোতা হবে না। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, আলোচনা হতে হলে অবশ্যই বিএনপি চেয়ারপারসন যে সাত দফা দাবি দিয়েছেন সেটা নিয়েই আলোচনা করতে হবে। এর ভিত্তিতেই সমঝোতা করতে হবে। সরকার সংলাপ ও সমঝোতা না চাইলে রাজপথেই এর সমাধান হবে। তবে সরকারি দলের কোন নেতা সংলাপের আভাস দিলেও আমরা সেটাতে কোন ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি থেকে সরবো না। যেটা হবে আন্দোলন বহাল রেখেই। সমঝোতা হলে ও সরকার আগাম নির্বাচন করতে রাজি হলে আন্দোলন স্থগিত করবে বিএনপি। এই কারণেই তারা কোন আগাম কর্মসূচি ও পরিকল্পনার কথা সবাইকে বলছেন না। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিবেন। চূড়ান্ত পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আগাম কোন ভাবেই জানার কোন উপায় নেই। কারণ পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত আসছে। সেটা পালন করা হচ্ছে।
Discussion about this post