বিডি ল নিউজঃ

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের মানুষ। হিমালয়ের পাদদেশ থেকে নেমে আসা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও হিমেল হাওয়া বইছে। সারাদিনেও দেখা মিলছে না সূর্যের।
দিনাজপুরে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ১০০ শতাংশ। জেঁকে বসা কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। তারা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা।
প্রচণ্ড শীতে জবুথবু অবস্থা মানুষের। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানষের দুর্দশা বেড়েছে। ঠান্ডার কারণে বের হতে পারছেন না তারা ঘরের বাইরে।
শৈত্যপ্রবাহ ও শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও রাস্তায় যানবাহন চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। কখনো চলছে রোদের লুকোচুরি খেলা। দুপুরের আগে দেখা মিলছে না সূর্যেরে মুখ। আবার কিছুক্ষণ থাকার পরই সূর্যও ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশার চাদরে। হিমেল বাতাসের ঝাপটায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
অন্যদিকে শৈত্যপ্রবাহে বিনষ্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা ও আলুসহ বিভিন্ন সবজি। ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষ করে বস্ত্রহীন ছিন্নমূল মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাবু হয়ে পড়েছে। শীতের এই তীব্রতা অব্যাহত থাকলে দরিদ্র মানুষের জীবন আরও দুর্বিসহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে ১০০ শতাংশ বাতাসের আদ্রতা। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের ঝাপটা শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
হাঁড় কাঁপানো শীতে রেহাই নেই পশু পাখিদেরও।শীতার্ত মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে শুধু সরকারি সাহায্যই যথেষ্ট নয় বেসরকারি উদ্যোগও জরুরি এমনটাই প্রত্যাশা শীতার্ত মানুষদের।




Discussion about this post