বিডি ল নিউজঃ
ভাটা পরা আন্দোলন চাঙ্গা করতে গ্রেপ্তার হতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ জন্যই আদালতে তিনি আত্মসর্পণ করতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
গত বুধবার দুর্নীতির দুই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। আগামীকাল বুধবার এই মামলার আবার শুনানি আছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে খালেদা জিয়াকে জামিন চাইতে হবে। তবে শুনানির আগের দিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতে জামিন আবেদন করেছেন।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, পুলিশ খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করলে নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমে আসবে। এতে আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করে রেখেছেন খালেদা জিয়া। তিনি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন।
সারাদেশে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় হওয়ারও নির্দেশনা রয়েছে। ইতোমধ্যে সেই নজিরও পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষ, ভাঙচুরের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
খালেদা জিয়া কাল আদালতে যাচ্ছেন না নিশ্চিত করে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, “বিএনপি চেয়ারপারসন আদালতে কিভাবে আসবেন? তার নিরাপত্তাজনিত সমস্যা রয়েছে। রাস্তাঘাট নিরাপদ নয়। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি আদালতে আসতে পারবেন না’।
তবে আদালতে যাবেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। জানা গেছে, কাল ধার্য তারিখে আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ‘নিরাপত্তাজনিত’ সমস্যা তুলে ধরতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে এ মামলায় খালেদা জিয়া হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে পুরান ঢাকার বকশীবাজার এলাকায় বিএনপির সমর্থকদের ওপর সরকার-সমর্থকদের হামলার ঘটনাটি উল্লেখ করা হবে।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলেও নতুন নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলন থামবে না। বরং তাকে গ্রেপ্তার করা হলে আন্দোলনের নতুন মাত্রা যোগ করতে করণীয় নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। হরতাল-অবরোধের মধ্যে অসহযোগ আন্দোলনও শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হতে চান বিষয়টি এমন না। কিন্তু সরকার তাকে রাজনৈতিক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইছে। খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হলে দল গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলবে। এতে দল পরিচালনায় কোনো সমস্যা হবে না। বরং দল আরও গতিশীল হবে’।
Discussion about this post