বিডি ল নিউজঃ

ভারতে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনা দেশ সম্পর্কে ভুল ধারণার জন্ম দিয়েছে। অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে এক জার্মান অধ্যাপিকা কোনও ভারতীয় ছাত্রকে ইন্টার্ন হিসেবে নিতে অস্বীকার করেছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ক্লাসে ছাত্রীও রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি নজিরবিহীন খবর শোরগোল ফেলেছে। এক লিখিত জবাবে লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সস্টিটিউট অফ বায়োকেমিস্ট্রি-র এক অধ্যাপিকা জানিয়েছেন, তিনি কোনও ভারতীয় প্রার্থী আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন না। কারণ, ভারতের ধর্ষণ-সংস্কৃতিকে তিনি সমর্থন করেন না। একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে একথা জানা গেছে।

তাঁর এই যুক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ওই অধ্যাপিকা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, এটা কার্যত সবাইকে এক গোত্রে ফেলার সামিল। অধ্যাপিকা আরও জানিয়েছেন, ভারতে মহিলাদের ওপর হিংসার ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত। তাঁর দাবি, সমগ্র ইউরোপের অধ্যাপিকাই এ ধরনের সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।
ওই অধ্যাপিকার পাঠানো ইমেল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শোরগোল ফেলেছে। অনেকেই ওই ইমেলকে গুজব বললেও একটি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপিকা এর সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে এক পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিষয়ববস্তুকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন।
সূত্রঃ এবিপি আনন্দ




Discussion about this post