একে.এম নাজিম,হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান ও ফটিকছড়ি উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মিঠা পানির প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সরকারী নিষেধাঞ্জা অমান্য করে ইজারা না নিয়ে বালি উত্তোলন করছে স্থানীর একাদিক প্রভাবশালী চক্র। এতে করে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর পরিবেশ তথা মা মাছের অবাধ বিচরণ, মা-মাছ মারা যাওয়া ও নদী ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন রকমের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বি ত হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে সংশি¬ষ্ট প্রসাশনের কোন তদারকি নেই অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের রুহুল¬াপুর সুইচ গেইট, সত্তার ঘাট, মদুনাঘাট, মাদার্শা, গড়দুয়ারা, ছিপাতলী, নাঙ্গলমোড়াসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন চলছে বলে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রে আরো জানা যায়, হাটহাজারী উপজেলার এক শ্রেণীর কিছু অসাধু বালি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সরকারের কাছ থেকে ইজারা নেওয়ার নাম করে সংশ্লিষ্ট প্রসাশনকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ বালির ব্যবসা দেদারে চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের উপর মহলের কর্তাদের কোন নজরদারী না থাকায় এই প্রভাবশালী সিন্ডিকেট আইনকে তোয়াক্যা না কওে তাদের ইচ্ছে মত বালু উত্তলন করছে হালদা নদী থেকে এই নিয়ে এলাকার সচেতন মহলও এলাকাবসীর মধ্যে ক্ষোভের দানা বাদছে। হালদার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, হালদা নদী থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করা না হলে হালদার উপর নির্ভরশীল মানুষ গুলোকে বেশ দূর্ভোগে পড়তে হবে। কারণ হালদা থেকে এভাবে বালু উত্তোলন করা হলে হালদা নদীর ভারসাম্যতা হারিয়ে পেলতে পারে। আর ভারসাম্য হারালে যে জন্য হালদা বিখ্যাত সেই হালদা নদীর মাছ গুলোকে বাঁচিয়ে রাখা বেশ দূ:স্কর হয়ে পড়বে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
হালদার তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বিরতিহীন ভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন করে পরিবাহন করা যান্ত্রিক নৌযান দিয়ে। বেপরোয়া ভাবে নদীর বালি উত্তোলনের নদী বিভিন্নস্থানে ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষের বাড়ি -ঘরসহ ব্রিজ-কালবার্ট ভেঙ্গে পড়ছে। এছাড়া কয়েকটি ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে হালদার ভাঙ্গনের ফলে হুমকির মাঝে পতিত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক উদ্ধর্তন কর্মকর্তা জানান, কিছু অসাধু দূনীর্তিবাজ কর্মকর্তাদের আশ্রয় ও প্রশয়ে এসব অসাধু ব্যাক্তিরা দিনে দুপুরে হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। এত করে সরকার বি ত হচ্ছে লাখ লাক্ষ টাকার রাজস্ব আয় থেকে।
প্রতি মৌসূমে হালদার ডিম সংগ্রহ কারী মোহাম্মদ নুরুল হুদা ও মোঃ কামাল এই প্রতিবেদককে জানান, ডিম ছাড়ার পূর্বে মা মাছ খুব দূর্বল থাকে। এ সময় নদীতে মা মাছের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে হয়। এসময় হালদা নদী থেকে ড্রেজার বা অন্য কোন মাধ্যম দিয়ে বালি উত্তোলন করা টিক নয়। এতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর পরিবেশ তথা মা মাছের অবাধ বিচরণ, মা-মাছ মারা যাওয়া ও নদী ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এ ব্যাপারে প্রসাশনের করা নজর জুরুরী হয়ে পড়েছে।
Discussion about this post