একে.এম নাজিম,চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ হাটহাজারীতে অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ লাইন নির্মানের কারণে এলাকাবাসীর কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি অকেজো হয়ে পড়েছে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ স ালন লাইন নির্মাণের কারণে অপেক্ষাকৃত বিত্তশালীরা তেমন ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও নি¤œ মধ্যবিত্ত, নি¤œবিত্ত ও অসহায় মানুষজন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাছাড়া, বিদ্যুৎ লাইনের কারণে বিত্তশালীরা লাভবান হলেও নিরীহ লোকজন তেমন উপকৃত হয় নি। ক্ষেত্র বিশেষে বিত্তশালীরা লাইন নির্মাণকারীদের সাথে সমঝোতা করে ভবিষ্যতের কথা মাথায় এনে স ালন লাইন নির্মাণের সময় নিজেদের জায়গা বাদ করে অসহায় নিরীহ মানুষের জায়গার উপর দিয়ে লাইন নির্মাণের ব্যবস্থা করেছে। খবর সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য দায়িত্বশীল সূত্রের।
সূত্র জানায়, হাটহাজারী উপজেলায় দুই সংস্থার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। একটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, অন্যটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় সত্তর এর দশকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া শুরু হয়। সেই সময় উপজেলা সদর এলাকা সহ মহানগরী সংলগ্ন এলাকা সমূহে অপেক্ষাকৃত বড় বড় হাটবাজরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করার জন্য স ালন লাইন স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে নাগরিক সুবিধার জন্য গ্রাম্য হাটবাজার এবং বিভিন্ন গ্রামের অপেক্ষাকৃত উচ্চ মধ্য বিত্ত পরিবারও বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করে। পরে গ্রামের মানুষ সজাগ সচেতন হলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন গ্রামে স ালন লাইন নির্মাণ করে সংযোগ প্রদান করেন। এরপর দিন দিন বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে জন প্রয়োজনে প্রায় এলাকায় স ালন লাইন নির্মাণ করা হয়। স ালন লাইন বৃদ্ধি করে সংযোগ বৃদ্ধি পেলে সরকারের রাজস্ব আয় ও বৃদ্ধি পেতে থাকে। গ্রাহকগণ সরকারের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যথাসময়ে বিদ্যুৎ বিলও পরিশোধ করতে থাকে। বিদ্যুতের চাহিদা ও গ্রাহক বৃদ্ধি পেলে হাটহাজারী সদরের বিউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় সেই সত্তর এর দশকে।
সাথে স্থানীয়ভাবে আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকৌশলীর দপ্তরও প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে স ালন লাইনের পরিধি বৃদ্ধি পেলে সেই সত্তর এর দশকের শেষ দিকে নাজিরহাট রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ জায়গা এই বিভাগ অধিগ্রহণ করে এখানেও একটি বিদ্যুতের আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকৌশলীর দপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
দেশ স্বাধীন হলে ক্রমে আইনের প্রয়োগ অজ্ঞাতকারণে কমে যায়। আইনের প্রয়োগ কমে যাওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর স্বার্থন্বেষী ব্যাপক হারে অবৈধ সংযোগ দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে শুরু করে। অবশ্য এই অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীদের সাথে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল বিভাগের গোপন যোগসাজশ থাকার কথা ছিল মানুষের মুখে মুখে। অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর সংখ্যা সারা দেশের মত হাটহাজারী সহ পার্শ্ববর্তী বিদ্যুতায়িত উপজেলায় বৃদ্ধি পেলে লাভজনক এ বিভাগ আশঙ্কাজনকভাবে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। এতে দেশে ক্রমে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের কারণে বিদ্যুৎ বিভাগ লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া এবং লোডশেডিং বৃদ্ধিকে সিস্টেম লস বলে দীর্ঘ দিন চালিয়ে আবাসিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, এমনিক বড় বড় শিল্প কারখানায় অবৈধ সংযোগ প্রদান করে এক শ্রেণীর বিভাগীয় অসাধু কর্মকর্তা / কর্মচারী এমনকি বিভাগের নি¤œ শ্রেণীর কর্মচারী পর্যন্ত রাতারাতি বিপুল অর্থের মালিক বনে যায়। বিত্তহীন পরিবারের অনেক সন্তÍান বিদ্যুৎ বিভাগে চাকুরী করে কোটিপতি বনে গেছে। এ উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত অনেকেই চট্টগ্রামের অভিজাত এলাকাসহ রাজধানী ঢাকায়ও বিলাস বহুল বাড়ী ঘর নির্মাণ করেছে। এখনও তদন্ত করলে এই ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যাবে। বিদ্যুৎ বিভাগের মির্জাপুর এলাকার এক নি¤œ শ্রেণীর কর্মচারী এখন নগরীর পাঁচলাই আবাসিক এলাকায় আলীশান বাড়ী করেছে। তাছাড়া ফেণীর প্রত্যন্ত অ লের এক লাইনম্যান যে কিনা নবক্ষই এর দশকে হাটহাজারীতে কর্মরত ছিলেন। সে এখন ঢাকায় বিলাসবহুল বাড়ী করার কথা জনশ্রুতি রয়েছে।
পরবর্তীতে বিদ্যুৎ বিভাগের নানা অনিয়ম দূর্নীতির বিষয় সরকারের দায়িত্বশীল বিভাগ অবহিত হয়ে ৮০ দশকের মাঝামাঝি বিদ্যুৎ বিভাগকে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নিকট হস্তান্তর করে। সমিতিতে হস্তান্তর করার পর ৯০ এর দশকে এই উপজেলার কিছু এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কে হস্তান্তর করা হয়। হাটহাজারীতে বিদ্যুৎ স ালন লাইন স্থাপনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কিংবা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কোন নিয়মনীতি অথবা সূদুঢ় প্রসারী পরিকল্পনা না করে লাইন স্থাপন করেন। বিভাগীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে। স ালন লাইন স্থাপনে এই সংস্থা জনস্বার্থের কথা চিন্তা না করে সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে লাইন স্থাপন করেন। লাইন স্থাপনের সময় এলাকাবাসীকে বিদ্যুৎ সংযোগের প্রলোভন দিয়ে যত্রতত্রভাবে লাইন নির্মাণ করেন। তখন জনসংখ্যা কম থাকায় ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার লোভে তখন বাড়ী ঘর, মূল্যবান জায়গা জমির উপর দিয়ে লাইন নির্মাণ করার সুযোগ দেন। দুই সংস্থা লাইন নির্মানের সময় মানুষকে এই বলে ও মিথ্যা আশ্বাস প্রদান করেন যখন তাদের জায়গা প্রয়োজন হবে তখন একটি মাত্র আবেদন করলেই লাইন সরিয়ে নেওয়া হবে। তাছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল গ্রাহকই এই সমিতির সদস্য। আর সদস্যরাও এ সমিতির লভ্যাংশের ভাগীদার হবে। আবার কিছু দুরদর্শী স্বার্থন্বেষী মহল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিজেদের জায়গার উপর দিয়ে লাইন নির্মাণ করতে না দিয়ে কৌশলে নিরীহ, অসহায় লোকজনের জায়গার উপর দিয়ে লাইন নির্মান করার ব্যবস্থা করেন নিজেদের সুবিধা মত। কোন নিরীহ লোকজন নিজেদের জায়গার উপর দিয়ে লাইন নির্মাণে বাঁধা প্রদান করলে তাদের পুলিশী সহ নানামুখী ভয় প্রদর্শন করে লাইন নির্মাণ করিয়ে নেয়। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে লাইন নির্মাণ করার কারণে বর্তমানে এলাকার লোকজন নিজেদের প্রয়োজনে নিজস্ব জায়গায় বাড়ী ঘর নির্মাণ করতে পারছে না উপর দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন যাওয়ার ফলে। তাছাড়া লাইনের কারণে অনেকের মূল্যবান গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। আবার ফসলী জমির মাঝখানে বিদ্যুতের খুটি থাকার কারণে কিংবা খুটির টানা থাকার কারণে জমিতে চাষাবাদ বিঘিœত হচ্ছে এবং দূর্ঘটনা ঘটছে। এসব কারণে প্রয়োজনে কেউ লাইন সড়াতে গেলে তাকে নানামুখী হয়রানীর শিকার সহ মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হয়। সরকারহাট এলাকায় একটি মসজিদের উপর দিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ তৎকালে কৌশলে স ালন লাইন স্থাপন করায় জনপ্রয়োজনে মসজিদ সম্প্রসারণ করতে লাইন সরাতে গিয়ে তাদের নানামুখী ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়েছে বলে কমিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়। অবশ্য ক্ষেত্রে বিশেষে মোটা অংকের টাকা খরচ করতে পারলে এ লাইন সরানোর জটিল কাজটি সহজে হয়ে যায়। উপজেলা সদরের বিউবোর বিদ্যুৎ স ালন লাইনের কারণে অনেক ভবনের মালিক তাদের ভবন সম্প্রসারণ করতে পারছে না বলে জানা গেছে। আবার একই এলাকায় একটি বিলাসবহুল মার্কেটের উপর দিয়ে দীর্ঘদিনের পুরাতন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইন একপ্রকার রাতারাতি সরিয়ে ফেলার নজিরও রয়েছে বলে অনেকে বলাবলি করছে। আবার একশ্রেণীর হিংসুখ লোক ও ঘনিষ্টজনের পরিবারে লাইন প্রার্থী এবং অন্যকোন লোক যাতে বিদ্যুৎ সুবিধা পেতে কষ্ঠকর হয় সেই জন্য দুর পথে ঘুরিয়ে অন্যলোকের ক্ষতি করে স ালন লাইন নির্মাণ করার কথাও প্রচারিত আছে। তাছাড়া এসব স্বার্থন্বেসী লোকজন নিজের ঘনিষ্ঠজন ছাড়া অন্যরা যাতে সংযোগ না পায় সেই জন্য অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রান্সফরমার স্থাপনের কথাও শোনা যায়। যাতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রান্সফরমার আনতে প্রতিবেশীদের হয়রানীর শিকারে পরিণত হতে হয়। সেই জন্য মির্জাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ায়ও এইভাবে অপরজন যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ না পায় সেই জন্য দূর পথে ঘুরিয়ে সংযোগ নেওয়ার কথা মানুষের মুখে মুখে। এতে করে এক পাড়ার চর্তুদিকে প্রত্যেক পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও পার্শ্ববর্তী বাড়ীতে সংযোগ নেই। অথবা বিদ্যুৎ সংযোগের নির্দ্দিষ্ট দূরত্ব একশ মিটার থেকে ৫/৭ মিটার দূরত্বের পরিবারও বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না।
বিগত ২০০১ সালের গঠিত সরকারের সময় দক্ষিণ মাদার্শা মদুনাঘাট এলাকার বিউবোর আওতাধীন স ালন লাইন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিকট হস্তান্তর করলে এই এলাকার লোকজনের অবৈধ সংযোগ দিয়ে বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করতে পারবে না বলে দীর্ঘদিন তারা এ এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে লাইন গ্রহণে বাঁধা প্রদানের অভিযোগের কথা শোনা যায়। তবে, এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কথা অস্বীকার করে। তারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নানামুখী হয়রানীর কারেণ বিউবোর সাথে থাকতে চেয়েছিল বলে সংবাদিকদের জানান। অবশ্য বিগত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় এই এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় আনা হয় বলে জানা গেছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বেশ কিছু দিন থেকে গ্রাহকদের নানাভাবে হয়রানী করার কথা গ্রাহকদের মুখেমুখে। যেমন-ট্রান্সফরমার চুরি হলে এটা গ্রাহকদের টাকায় ক্রয় করে পুনঃস্থাপন করা, প্রতিমাসে গ্রাহকদের কাছ থেকে মিটার ভাড়া আদায় সহ নানামুখী চার্জ গ্রাহকদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে আদায় করছে বলে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রাহকদের অভিমত কেউ ব্যবসা করতে গেলে তাকে দোকান ক্রয় কিংবা ভাড়া নিতে হয়। এজন্য সেলামী অথবা অগ্রিম প্রদান করতে হয়। আবার পুঁজিও বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিনা পুঁজিতে মানুষের জায়গায় খুঁটি স্থাপন করে স ালন লাইন নির্মাণ করে। পুঁজি দিয়ে ট্রান্সফরমার স্থাপন করে ব্যবসা করার জন্য। কোন ব্যবসায়ীর দোকান চুরি হলে ঐ ব্যবসায়ীকে পুনরায় পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হয়। ব্যবসা করার জন্য ক্রেতারা ব্যবসায়ীকে পুঁজি দেয় না। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নিজেদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের পুঁজি গ্রাহকদের দিতে বাধ্য করে। এতে গ্রাহকগণ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিল যথারীতি প্রদান করতে হচ্ছে। লোড শেডিং এর জন্য বিকল্প জ্বালানী ব্যবস্থা করতে দ্বৈত খরচের বোঝাও তাদের উপর চরছে তার উপর আবার ট্রান্সফরমার চুরি হলে, তার কিংবা মিটার নষ্ট হলে সেজন্যও সমিতিকে টাকা দিতে হচ্ছে। কিন্তু সমিতির সদস্যরা কোনভাবে লভ্যাংশের অর্থ পায় না। পল্লী সমিতির এই কার্যক্রমকে পরের ধনে পোদ্দারী বলে উল্লেখ্য করেছেন অনেকেই।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডও নানামুখী অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে গ্রাহকদের হয়রানির কথাও মানুষের মুখে মুখে। মনগড়া বিদ্যুৎ বিল তো রয়েছেই। লোড শেডিং এর কারণে বিকল্প জ্বালানীর ব্যবস্থা করতেও এ সংস্থার গ্রহাকদেরও দ্বৈত খরচের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। দুই সংস্থার বিদ্যুৎ স ালনের লাইন ও সংযোগের কারণে উপজেলার আওতাধীন দরিদ্র গ্রাহকরা যেই হারে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে তারা সেভাবে উপকৃত হচ্ছে না। তবে দরিদ্র লোকজনের জমি বা বাড়ী ঘরের উপর দিয়ে স ালন লাইন নিয়ে বিত্ত্বশালীরা নিজেদের ব্যবসা, শিল্প প্রতিষ্ঠান করে লাভবান হচ্ছে। অথবা বাসাবাড়ীতে তাপানুকুল যন্ত্র, আইপিএস স্থাপন করে নিজেদের আরাম আয়েশ করে চলছে। তাই পর্যবেক্ষক মহলের দাবী এই উপজেলায় বিদ্যুৎ স ালন লাইন পরিকল্পিতভাবে স্থাপন করে জনস্বার্থ রক্ষা করার। অন্যথায়, দূর্ঘটনা বৃদ্ধিসহ নানাভাবে ভোগান্তি ও দূর্ভোগের শিকারে পরিণত হতে হবে এ দেশের নিরীহ অসহায় মানুষদের বলে মত প্রকাশ করেছেন ভোক্তভোগী মহল। দুই বিদ্যুৎ বিতরণী সংস্থার এহেন আচরণ মানুষ বুঝতে পারলে যেকোন সময় অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্কিত ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রতিদিন গ্রাহকদের জায়গার উপর বিদ্যুৎ খুটি স্থাপন করে বিদ্যুৎ সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ লোডশেডিং ছাড়া কোন অন্য কোন প্রকার ট্রান্সফর্মার বা লাইনের সমস্যা হলে তাদের অফিসের ফোনে শতবার ফোন করেও লাইন পাওয়া যায়না। লাইন পাওয়া গেলেও তারা কাজ করতে আসেনা। প্রতিদিন টিএনটি ফোনের রিসিভার তুলে রেখে ফোনটি ব্যস্ত করে রাখে। ## ০৬.০৪.২০১৫
ক্যাপশন : এভাবে হাটহাজারীতে অপরিকল্পিত পল্লী বিদ্যুৎ ও পিডিবির খুটি স্থাপনের ফলে মালিকানাধীন জায়গার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
Discussion about this post