বিডি ল নিউজঃ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স সেল-সিআইসি থেকে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোতে চিঠি পাঠিয়ে এই ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রীর গত ৭ বছরের ব্যাংক হিসাব জানতে চাওয়া হয়েছে।
সিআইসি রাজস্ব বোর্ডের গোয়েন্দা বিভাগ।
ফাঁকিবাজদের থেকে কর আদায় করতে সিআইসি বিভিন্ন সময় ব্যাংক একাউন্টের তথ্য জানা, একাউন্ট জব্দ করা, সম্পদের তথ্য নেওয়ার কাজ করে থাকে।
এনবিআরে জমা দেওয়া আয় কর বিবরণীতে কোনো অসামঞ্জস্য আছে কি না- জানতে চাওয়া হলে লতিফুর বলেন, “আমার দেওয়া বিবরণীতে কোনো অসামঞ্জস্য নেই।”
ব্যাংকগুলোতে পাঠানো সিআইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, “লতিফুর রহমান ও শাহনাজ রহমান বা তাদের পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের একক বা যৌথ নামে আপনাদের ব্যাংকে কোনো ধরনের মেয়াদি আমানত হিসাব (এফডিআর ও এসটিডি), যে কোনো ধরনের সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি একাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যে কোনো ধরনের সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিম বা অন্য কোনো ধরনের বা নামের হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে পত্র প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে অত্র বিভাগে তার তথ্য পাঠাবেন।”
চিঠিতে এই দুই ব্যক্তির ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ সব ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
তথ্য সময়মত না পাঠালে ব্যাংকগুলোকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা এবং পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে বলেও চিঠিতে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
গণমাধ্যম ব্যবসা ছাড়াও ট্রান্সকম গ্রুপের বেভারেজ, ফার্মাসিউটিক্যালস, ইলেকট্রনিকস, ভোগ্যপণ্য, দুগ্ধজাত শিশুখাদ্যের ব্যবসা রয়েছে।
সেভেন আপ, পেপসি, মিরিন্ডা, অ্যাকুয়াফিনা, এসকেএফ বাংলাদেশ লিমিটেড, কেএফসি, পিজা হাটের মালিক লতিফুর।
তিনি নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড, হোলসিম সিমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের গভর্নরস বোর্ডের সদস্য।
Discussion about this post