বিডি ল নিউজঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিশোরীর সাথে বিয়েতে সম্মত না হওয়ায় এক যুবককে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে অদ্যাবধি পর্যন্ত মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাশাইল গ্রামের গৌরাঙ্গ লাল মুন্সীর ছেলে সুমন মুন্সী (২২) একবছর পূর্বে আত্মীয়তার সূত্র ধরে পার্শ্ববর্তী পূর্ব গোয়াইল গ্রামের অমিয় মধুর কন্যা পূর্ব গোয়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী রানীর সাথে পরিচয় হয়। দু’জনের ওই পরিচয়ের ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মে সন্ধ্যায় সাথী মধু তাদের বাড়িতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সুমনকে দেখা করতে বলে। সাথীর কথামত সুমন তাদের বাড়িতে গেলে একপর্যায়ে স্থানীয় অতি উৎসাহী কতিপয় ব্যক্তি সুমনকে আটক করে বিয়ে পড়িয়ে দেয়।
পরে সাথীর বাবা অমিয় মধু ওই উৎসাহী লোকদের পরামর্শ ও সহায়তায় সুমনকে পায়ে শিকল দিয়ে ঘরের খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে অদ্যাবধি পর্যন্ত মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতন চালায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, শারীরিক নির্যাতনের একপর্যায়ে সুমন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে। পরে মেয়ের বাবা বাধ্য হয়ে স্থানীয় ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করে। এঘটনায় আহত সুমনের পিতা আইনী সহায়তা নিতে চাইলে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের তিনি জানান। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. চুন্নু ও পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এবিষয়ে আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম জানান,এব্যাপারে ভিকটিমের কাছ থেকে অভিযোগ না পাইনি। তবে সাংবাদিকদের কাছে শুনে এব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬.৫৫) আহত সুমনকে তার পরিবার উদ্ধার করতে পারেনি।”সময়ের কণ্ঠস্বর
Discussion about this post