বিডি ল নিউজঃ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদের জামিন আবেদনের শুনানি হলেও গতকাল শুক্রবার জামিন হয়নি। শিলংয়ের নিম্ন আদালত এ ব্যাপারে আরও তথ্য দাখিলের নির্দেশ দিয়ে ২৯ মে শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নিতে জামিন চেয়েছিল পরিবার।
এদিকে নেগ্রিমসে চিকিৎসাধীন সালাহ উদ্দিন আহমদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করেছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। আগামী কয়েক দিনে তাঁর শারীরিক অবস্থা এ পর্যায়ে থাকলে আগামী সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে।
জানতে চাইলে নেগ্রিমসের (নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস) ভারপ্রাপ্ত সুপার ভাস্কর বর্গাইন প্রথম আলোকে বলেন, গত বুধবার থেকে এ পর্যন্ত তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি না হলেও তাঁর হৃদ্রোগ ও মূত্রনালির সংক্রমণ রয়েছে। এসব সমস্যার কারণে তাঁকে আরও কয়েক দিন হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত।
আগামী সপ্তাহে সালাহ উদ্দিনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে কি না, জানতে চাইলে ভাস্কর বর্গাইন বলেন, এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না।
সালাহ উদ্দিন আহমদের পক্ষে জামিনের আবেদনে বলা হয়, তাঁকে অপহরণের অভিযোগে পরিবারের পক্ষÿ থেকে বাংলাদেশে মামলা করতে চাইলে পুলিশ তাতে রাজি হয়নি। এরপর তাঁর পরিবার হাইকোর্টে যায়। হাইকোর্ট এ ব্যাপারে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতি মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।
জামিন আবেদনের শুনানিতে সালাহ উদ্দিনের আইনজীবী এস পি মাহান্তো বলেন, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানো জরুরি। আদালতে তাঁর পাসপোর্ট ও বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের অনুলিপি দাখিল করা হয়।
সরকারপক্ষের কৌঁসুলি জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় পুলিশ এখনো সালাহ উদ্দিনের বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।
ম্যাজিস্ট্রেট এল খারশিং দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর শুনানির পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন।
এদিকে নেগ্রিমসের পরিচালক এ জে এহেনগার এ প্রতিবেদককে বলেন, এখনো চিকিৎসাধীন থাকায় সালাহ উদ্দিন আহমদকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেনি। চিকিৎসকদের মতে, পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা ঠিক হবে না।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে পুলিশ বিএনপির নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে চেয়েছিল। এ নিয়ে পুলিশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠিও পাঠিয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকদের সম্মতি না পাওয়ায় পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগে জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর সম্ভাবনা কম।
১১ মে ভোরে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকা থেকে পুলিশ সালাহ উদ্দিন আহমদকে আটক করে। বিনা পাসপোর্টে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁকে ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্টে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।”প্রথম আলো




Discussion about this post