ভারত নৌ, রেল ও সড়ক পরিবহনে বাংলাদেশকে নতুন করে ২০০ কোটি টাকার ঋণ দেবে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ঢাকা সফরে এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় পণ্য চলাচলের চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয় হাইকমিশন থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনানুষ্ঠানিকভাবে ২০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আসিফ উজ জামান বলেন, তারা ভারতীয় দূতাবাসের কাছে প্রকল্পের তালিকা পাঠিয়েছেন। তবে ঋণের পরিমাণের বিষয়টি জানাননি তিনি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন ঋণের সুদের হার ও শর্ত চলমান ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণের মতোই হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সে হিসেবে নতুন ঋণের সুদ হার হবে ১ শতাংশ, যা বিশ্ব ব্যাংকের সুদ হারের একটু বেশি। শর্ত হিসেবে চলমান ঋণের মতো নতুন প্রকল্পগুলোর জন্য অন্তত ৭৫ শতাংশ পণ্য ও সেবা অবশ্যই ভারত থেকে আমদানি করতে হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেলওয়ে, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইসিটি ও নৌ খাতের উন্নয়নে এ অর্থ ব্যয় হবে।
এর আগে ২০১০ সালে ভারত সরকার বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়। তৎকালীন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ওই ঋণের ২০ কোটি ডলার পরে অনুদান (সুদবিহীন) ঘোষণা করেন। বাকি ৮০ কোটি ডলার দিয়ে বর্তমানে ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। এক শ কোটি ডলারের প্রথম দফা ঋণের আওতায় গৃহীত ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে ইতিমধ্যে সাতটি প্রকল্প শেষ হয়েছে বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান। লেটেস্টবিডিনিউজ





Discussion about this post