বিডি ল নিউজঃ মানবপাচারের শিকার হয়ে সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে জানান তিনি।
সোমবার হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রিত তরুণ এশীয়দের সঙ্গে আলাপ করার সময় ওমাবা এসব কথা বলেন।
এই উদ্বাস্তুদের মধ্যে কয়েক হাজারকে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় আশ্রয় দেয়ার সুপারিশ করেছেন এবং এদের কিছু অংশকে যুক্তরাষ্ট্রও আশ্রয় দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দশকের সামরিক শাসন থেকে বের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক রূপান্তর সফল করতে কী করা দরকার, তরুণদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবামা বলেন, “আমি মনে করি, দেখতে কেমন ও কী বিশ্বাস করে, এসব কারণে লোকজনের ওপর করা বৈষম্যের অবসান ঘটানো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এমন বৈষম্য করা হচ্ছে, যা তাদের পালিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।”
তিনি নিজে রোহিঙ্গা হলে কী করতেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবামা বলেন, “আমার জন্ম যেখানে আমি সেখানেই থাকতে চাইতাম।”
“যে মাটিতে আমার বাবা-মা বসবাস করেছে সেখানেই থাকতে চাইতাম আমি, তবে আমার সরকার আমাকে সুরক্ষা দিচ্ছে এবং লোকজন আমাকে মুক্তভাবে গ্রহণ করছে, এটিও নিশ্চিত হতে চাইতাম আমি।”
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সম্মান কাজে লাগিয়েছেন ওবামা। তিন বছরে দুইবার মিয়ানমার সফরে গিয়েছেন তিনি। বিশ্বের উদীয়মান শক্তি চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাববলয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভারসাম্য তৈরির চেষ্টাও তার সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।
তবে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের ধীরগতি এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেশটির বর্ণবাদী আচরণে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে ওয়াশিংটন।



Discussion about this post