আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন ২১শে মে দেশটির নৌবাহিনী বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে সমুদ্রে ভাসমান নৌকায় আটকে থাকা এইসব অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এর পর দ্বিতীয় দফায় আরও যে সাতশোর বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়, তাদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি আছে, তা চিহ্ণিত করার কাজ শুরু হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী উনা মঙ লোঁয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গতকাল রাজধানী নেপিডুতে তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, আগামী ৭ই জুন রোববার থেকেই এদের ফেরত নেয়া হবে।
তবে মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সাগর থেকে প্রথম দফায় উদ্ধার করা এই ২৮৪ জনের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা আসলে দেড়শো জন।
মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের উপপ্রধান তারেক মোহাম্মদ বিবিসি বাংলার মোয়াজ্জেম হোসেনকে বলেন বাংলাদেশের কনস্যুলার দল এই উদ্ধারকৃতদের নথিপত্র যাচাই করে দেড়শোজনকে বাংলাদেশি হিসাবে চিহ্ণিত করেছে।
তিনি জানিয়েছেন ভাসমান যেসব অভিবাসন প্রত্যাশীকে সাগর থেকে উদ্ধার করে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া আর থাইল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে, তাদের পরিচয় যাচাই করার জন্য যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে, একই পদ্ধতি ব্যবহার করে মিয়ানমারে এই বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
তবে তাদের কোন্ পথে কীভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হবে সে বিষয়টি সমন্বিত আলোচনার মাধ্যমে স্থির করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের উপপ্রধান।
দ্বিতীয় দফায় যে সাতশোর বেশি মানুষকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে তাদের হিসাবে এদের মধ্যে আশি শতাংশই বাংলাদেশি।
মিঃ মোহাম্মদ বলেছেন এই সাতশোর বেশি মানুষের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি তা যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে জানা যাবে না।
”আমাদের কনস্যুলার টিম এখনও সেখানে পৌঁছয় নি। তারা গিয়ে একই পদ্ধতিতে কাজ শুরু করবে এবং তার আগে এই প্রকৃত সংখ্যা কত তা বলা যাবে না।”
এই সাতশো অভিবাসন প্রত্যাশীকে মিয়ানমারের যেখানে সাময়িকভাবে রাখা হয়েছে, সেখানে তারা কী অবস্থায় আছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছলে তা সঠিকভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তারেক মোহাম্মদ।বিবিসি



Discussion about this post