কানাডার দুজন, যুক্তরাজ্যের একজন এবং নেদারল্যান্ডসের একজন করে নাগরিককে বুধবার আদালতেও নেওয়া হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
যে ১০ বিদেশি পর্যটক গত ৩০ মে মালয়েশিয়ার মাউন্ট কিনাবালুর চূড়ায় উঠে নগ্ন ছবি তুলেছিল, তাদের মধ্যে এই চারজন ছিলেন।
এরপর শুক্রবার মালয়েশিয়ার সাবাহ প্রদেশে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে মাউন্ট কিনাবালুতে অন্তত ১৮ পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়।
ভূমিকম্পের পর সাবাহ প্রদেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী জোসেফ পিরিন কিতিনগান বলেন, “পাহাড়ের চূড়ায় নগ্ন ছবি তুলে পর্যটকরা পাহাড়ের দেবতাকে রুষ্ট করেছে। এই কারণে ভূমিকম্প হয়েছে।”
পরে সাবাহ’র পর্যটনমন্ত্রী মাজিদি মানজুন বলেন, আসলে উপ-প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ‘ভুল ব্যাখ্যা’ করা হয়েছে। তবে তিনি এটাও বলেন, পর্যটকদের আচরণ সাবাহ প্রদেশে বসবাস করা সবচেয়ে বড় আদিবাসী গোত্রের বিশ্বাসবিরুদ্ধ ছিল।
পশ্চিমা পর্যটকদের আচরণ নিয়ে মুসলিম প্রধান দেশ মালয়েশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভের ঝড় ওঠে। এ নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।
সাবাহ প্রদেশের রানাউ জেলা পুলিশের প্রধান মহদ ফারহান লি আব্দুল্লাহ বিবিসিকে বলেন, কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সাবাহ প্রদেশের তাওয়াউ বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের নারী পর্যটককে গ্রেপ্তার করে। এরপর কানাডার দুই পর্যটক (যারা সহোদর) এবং নেদারল্যান্ডসের নাগরিক পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বুধবার ওই চার পর্যটককে সাবাহ প্রদেশের একটি আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তাদের অন্তত শনিবার পর্যন্ত বন্দি থাকতে হবে। এই সময়ে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে।
সাবাহ পুলিশ কমিশনার জালালুদ্দিন আব্দুল রহমান বলেন, সম্ভবত পর্যটকদের বিরুদ্ধে জনবিড়ম্বনা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হবে।
ওই দলে থাকা অন্য ছয়জন পর্যটককে খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা তাদের ধরবই।”
পর্যটকদের আইনজীবী রনি চ্যাম বলেন, তিনি তার মক্কেলদের নিরাপত্তার জন্য তাদের অন্যান্য বন্দিদের সঙ্গে না রাখার অনুরোধ করেছেন।




Discussion about this post