বাংলাদেশ হতে ২০২০ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচির অংশ হিসাবে কুকুর কামরের আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি সারাদেশে ব্যাপক হারে কুকুরের জলাতঙ্ক প্রতিষোধক টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৫ জুন বৃহ¯প্রতিবার সমগ্র পাবনা জেলার নয়টি উপজেলায় জলাতঙ্ক প্রতিরোধে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি শেষ হয়। সমগ্র পাবনা জেলায় কুকুরের টিকাদান কর্মসূচিতে জেলার দেখতে পাওয়া ২৬,৪১১ টি কুকুরের মধ্যে ২০,৪৯৯ টি কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিশোধক টিকা প্রদান করা হয়।
পাবনা সদর, ঈশ্বরদী, বেড়া, সাথিয়া, চাটমোহর ও সুজানগর উপজেলায় ১৪ই জুন হতে ৪ দিন ব্যাপী কর্মসূচির প্রথম পর্ব শুরু হয়ে ১৭ জুন শেষ হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্বে ২২ জুন হতে ২৫ জুন ফরিদপুর, আটঘরিয়া ও ভাঙ্গুরা উপজেলায় কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। কর্মসূচিতে পাবনা জেলার অধিকাংশ পোষা ও বে-ওয়ারিশ কুকুরকে একযোগে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়। এমডিভি কর্মসূচি সফল করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এমডিভি কনসালটেন্ট ডাঃ কামরুল ইসলাম, ডাঃ সোহেল রানা, ডাঃ চন্দন সরকার, ডাঃ সুদেব সরকার, ডাঃ রাশেদুল ইসলাম, ডাঃ মাহমুদুল্লাহ এবং এমডিভি সুপারভাইজার এইচ.এস.এম তারিফ ও মোঃ কামরুল ১০ জুন হতে পাবনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও কুকুরকে ধরার জন্য সাতক্ষীরা, প গড়, ঠাকুরগাঁ, পাবনা, নাওগা, বরিশাল ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের অভিজ্ঞ ডগ ক্যাচার কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করে। সিরাজগঞ্জ জেলায় কুকুরের টিকাদান কর্মসূচির সফলতা সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এমডিভি কনসালটেন্ট ডাঃ মাহমুদুল্লাহ বলেন, “সিরাজগঞ্জবাসীর আন্তরিক সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে সমগ্র সিরাজগঞ্জ জেলায় কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি সফলভাবে শেষ হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সহযোগিতাই সফলতার অন্যতম কারন।” তিনি আরও বলেন, “সমগ্র জেলায় টিকাদান কর্মসূচি বাংলাদেশে প্রথম হয় গাইবান্ধা জেলায়। পরবর্তিতে সমগ্র সিরাজগঞ্জ জেলায় সম্পন্ন করে আমরা এবার পাবনায় কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি বেশ সহজেই এবং সফলভাবে সমাপ্ত করতে পেরেছি।”
Discussion about this post