বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) সংবাদমাধ্যমকে আইএসের এ অপকর্মের কথা জানিয়েছেন ইউনেস্কো প্রধান বুলগেরিয়ান রাজনীতিক ইরিনা বোকোভা।
তিনি বলেন, ইরাকের বিশ্ব-পরিচিত ১০ হাজার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার এক পঞ্চমাংশ এরই মধ্যে লুট করে ফেলেছে আইএস। বাকি স্থাপনাগুলোয় কি হচ্ছে এখনও জানা যায়নি।
বোকোভা আরও বলেন, সিরিয়ার কিছু স্থাপনা এমনভাবেই লন্ডভন্ড করা হয়েছে, সেগুলোর আর কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই।
এসময় তিনি লিবিয়ার স্থাপনাগুলো নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, আইএসের দখলে এখন এমন কিছু এলাকা চলে গেছে, যেগুলো প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদে ভরপুর। অসিরীয় সম্রাটরা এসব এলাকায় তাদের রাজধানী গড়েছিলেন, গ্রেইকো-রোমান সভ্যতার উদ্ভব হয়েছিল, মুসলিম ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র স্থাপনাগুলো শতকের পর শতক পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে।
আইএস জঙ্গিরা সিরিয়ার পালমিরা ধ্বংস করছে বলে দেশটির পুরাতত্ত্ব পরিচালক মামুন আব্দেল-করিমের মন্তব্যের পরই ইউনেস্কোর এ সতর্কবাণী এলো।
এর আগে মামুন জানান, গত সপ্তাহে পালমিরার বিখ্যাত সিংহ মূর্তিটি ধ্বংস করেছে আইএস জঙ্গিরা। সিংহটি ‘আল-লাত’ নামে সর্বজন পরিচিত ছিল।
তিনি আরও জানান, আল-লাত তিন মিটার উঁচু ছিল। এর ওজন ছিল ১৫ টন। পালমিরার ঐতিহ্য ধ্বংসে এটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ আইএসের।
আল-লাত নামের ওই সিংহমূর্তিটিকে ইসলাম পূর্ববর্তী যুগে দেবতা হিসেবে মানতো মানুষ। খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকে মূর্তিটি তৈরি করে পালমিরায় এর মন্দির স্থাপন করা হয়।
Discussion about this post