আজ শনিবার। সেই ভয়াল ১১ জুলাই। চট্টগ্রামের মিরসরাই ট্র্যাজেডির চাতুর্থবার্ষিকী। ২০১১ সালের আজকের দিনে মিরসরাই স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গমাতা ফুটবল খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আবুতোরাবের তৈতইতলা এলাকায় পিকআপ উল্টে খাদে পড়ে ৪২ শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়।
দুর্ঘটনার পর গত চার বছর সন্তানহারা পিতামাতার চোখের জল শুকিয়েছে। বালিতে ভরেছে দুর্ঘটনাস্থলের খাদের কিছু অংশ। ব্যানারের রং বদলেছে, বদলেছে সময়ের ঘড়িও। তবুও কমেনি মিরসরাই ট্র্যাজেডির প্রায় অর্ধশত নিহত শিশু শিক্ষার্থীর শতাধিক পরিবারের সদস্যদের শোকের মাতম।
প্রিয়জন হারানোর বেদনায় শোকে মূহ্যমান এ অঞ্চলের মানুষের উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সাগরে আজও এতোটুকু ভাটা পড়েনি। নিহত সন্তানের স্মৃতি মনে করে ঘরের কোণে বসে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন মিরসরাইয়ের মায়েরা।
সহপাঠীদের শূন্যতাও যেন অপূরণীয় থেকে যাবে চিরকাল। প্রিয়জনের স্মৃতি মনে পড়তেই স্বজনরা গত চার বছরে শতবার ছুটে এসেছেন দুর্ঘটনাস্থল খাদের পাড়ে। সে দিনের ভয়াবহ স্মৃতি মনে পড়তেই কান্নার জলে ভিজে উঠছে দু’নয়ন।
সেই দুঃসহ স্মৃতি আজও তাড়া করছে মৃত্যুযুদ্ধে বেঁচে ফেরাদের। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চোখের সামনেই সহপাঠী হারানোর সেই শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য মনে পড়লে এখনও গা শিউরে উঠে সঠপাঠীদের।
বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) হতাহত পরিবারের সদস্য ও সহপাঠীদের খবর নিতে আবুতোরাব এলাকায় গিয়ে দুর্ঘটনার সময় পিকআপে থাকা মো. শুভ, শাকিল উদ্দিন, নাঈম হোসেনসহ একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়।
সেই বিভীষিকাময় মুহূর্তের কথা বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা সেই সব সহযোদ্ধরা। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়। ফিরে ফিরে আসে সেই বেদনার দিন ১১ জুলাই।
Discussion about this post