ফের ২ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

প্রবল বর্ষণের ঢল ও পূর্ণিমার জোয়ারে সকাল থেকেই এসব গ্রামে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এরআগে পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়েও হু হু করে পানি ঢুকছে।

এদিকে, বিকেলে কক্সবাজার-টেকনাফ সৈকতের মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ির ওয়াঝর্না এলাকায় পাহাড় ধসে পড়েছে।  এতে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া ও টেকনাফ উপজেলার দুই শতাধিক গ্রামের  সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎও নেই এসব গ্রামে। একইসঙ্গে এসব দূর্গত এলাকায় হাহাকার চলছে ত্রাণের জন্য।

সকালে পেকুয়ার মগনামা এলাকা পরিদর্শন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহা।

এ সময় তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কক্সবাজারের ৫টি উপজেলার ২ শতাধিক গ্রাম ফের প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত মানুষের সাহায্যে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।

পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল মোস্তফা চৌধুরী জানান, মগনামার কাকপাড়া, শরৎঘোনা, চেপ্টাখালীসহ বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় ৩ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে। যার কারণে পুরো মগনামা ইউনিয়ন ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, রামুর ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে কাওয়ারকূপ, ফতেখারকুল, চাকমারকুল, রাজারকুল ও জোয়ারিয়ানালাসহ ৬টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। এসব ইউনিয়নের ১২০টি গ্রামে পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ।
গৃহহীন হয়ে গেছে ২৫ হাজার পরিবার।

অন্যদিকে, টেকনাফের শহপরীর দ্বীপের সব গ্রাম রয়েছে পানির নিচে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে এখানকার বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির  জানান, টানা এক সপ্তাহের প্রবল বর্ষণ ও কোমেনের প্রভাবে জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ বাঁধ ভেঙে গেছে। এসব ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি গ্রামে প্রবেশ করছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন  জানান, বেড়ি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সমুদ্রের পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে পেকুয়া, চকরিয়া ও শাহপরীর দ্বীপ। পাশাপাশি প্রবল বর্ষণের কারণে এখনো পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন রামুর ১০ ইউনিয়নের লোকজন।

তিনি আরো জানান, সরকারিভাবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নগদ ৮ লাখ ৫ হাজার টাকা ও ৩১৪ মেট্রিকট্রন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আরো ১২ লাখ টাকার ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।