তিনি বলেছেন, তাই সুষ্ঠু রাজনীতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনপাঠ জরুরি।
বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমির পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে এই অনুষ্ঠানে একক বক্তা ছিলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকে তরুণদের ‘রোল মডেল’ উল্লেখ করে বাংলা একাডেমির ফেলো ড. আতিউর বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সঙ্গে বর্তমান রাজনীতির অনেক দূরত্ব। বর্তমানে শর্টকাটে নেতা ও বিত্তশালী হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় রাজনীতিকে প্রায়ই প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেখা যায়।
দেশপ্রেম, ত্যাগ ও সততার অভাবে রাজনীতির প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
গভর্নর বলেন, সত্যিকার রাজনীতিকদের জন্য সুস্থ রাজনীতি করা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনপাঠ তাই অত্যন্ত জরুরি।
‘বঙ্গবন্ধু নিজে পরিশ্রমী ছিলেন, কর্মী থেকে হয়েছেন বিচক্ষণ সংগঠক, সংগঠক থেকে অতুলনীয় নেতা, এরপর জাতীয় নেতা, হয়েছেন জাতির পিতা,’ যোগ করেন তিনি।
ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘জোর দিয়ে বলতে গেলে বলা যায়, তিনিই বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘বাংলাদেশ’- দু’টি নাম, একটি ইতিহাস। এক ও অভিন্ন সত্ত্বা। যেন মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।
‘ফাঁসির দড়িকে বঙ্গবন্ধু কখনও ভয় পাননি। দুই-দুইবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি বলেছেন, ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলবো, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা।’
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও সংশ্লিষ্টতা তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর।
এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
শামসুজ্জামান তার বক্তব্যে শেখ মুজিব সম্পর্কে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক’জন ব্যক্তির বক্তব্য তুলে ধরেন।



Discussion about this post