সাইফুল ইসলাম রাব্বি, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুরের পশ্চিম বাদুরতলা গ্রামে স্কুলছাত্রী ফারজানা আক্তার (১২) এবং উপজেলার জীবনদাসকাঠি গ্রামের স্কুল শিক্ষিকা তানজিলা বেগমের (৪৫) লাশ দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের সম্পন্ন শেষে গতকাল সোমবার সকালে পশ্চিম বাদুরতলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে ওই স্কুলছাত্রী ফারজানা আক্তারের লাশ দাফন করা হয় এবং আগে রোববার বিকেলে জীবনদাসকাঠি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে স্কুল শিক্ষিকা তানজিলা বেগমের লাশ দাফন করা হয়েছে। রাজাপুর থানার এসআই আব্দুল কাইউম ও শিক্ষিকার স্বজনরা জানান, জীবনদাসকাঠি গ্রামের ফিরোজ আলমের স্ত্রী, গালুয়া মাতৃ কল্যান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা তানজিলা বেগম গত শনিবার গভীর রাতে বাসার লোকজন ঘুমানোর পর সবার অজান্তে নিজঘরেই আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কীটনাশক পান করলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যুর আগে শারিরিক অসুস্থ্যতার জন্য আত্মহত্যা করেছে বলে নিজেই চিরকুট লিখে রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এর আগে গত বছরও আত্মহত্যার জন্য তিনি কিটনাশক পান করে ছিলো। অপরদিকে বাদুরতলা গ্রামের রিক্সাচালক ফারুক মল্লিকের মেয়ে ও পশ্চিম বাদুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প ম শ্রেনীর ছাত্রী ফারজানা আক্তারকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয়ার অভিযোগ এনে রাজাপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তার স্বজনরা। স্বজনরা অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় প্রতিপক্ষ দুই বখাটে ও তাদের লোকজন তাকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। তারাই তাকে শারিরিক নির্যাতনের (ধর্ষণ) পর হত্যা করে তার লাশ খালে ফেলে দিয়েছে বলে নিহতের খালা নাজমা বেগম অভিযোগ করেন। গত ১ জুলাই ওই স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হয়। ২ জুলাই রোববার একটি খাল থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাজাপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) মুনীর-উল গিয়াস জানান, স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হবে এবং স্বজনদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।




Discussion about this post