কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা দুঃখজনক ও অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী গ্রেফতার হওয়া উদ্বেগের বিষয়। আইনজীবীরা কখনোই টেরোরিস্ট পথে নেই।
এর জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেন, আইনজীবীরা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন। তাদের কেউ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে জড়িত- এটা আমি বিশ্বাস করতে পারি না।
মাহবুবে আলম বলেছিলেন, আমাদের এই সুপ্রিম কোর্টের তিনজন আইনজীবী গ্রেফতার হয়েছেন। হামজা ব্রিগেড নামে একটি নতুন দল হয়েছে, তাদের অর্থায়নের ব্যাপারে তিনজনকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। এই যদি হয় আজকে অবস্থা এই মৌলবাদীর সঙ্গে আইনজীবীদের যুক্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা হয়, বিষয়টি নিশ্চয়ই তদন্তাধীন আছে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কথা বলায় সময় এখন নাই। কারণ, আইনজীবী হিসেবে আমি সেই কথাটা বলবোও না।
তিনি আরও বলেছিলেন, এ ঘটনাটা আগে আমাদের সুপ্রিম কোর্টে ঘটেনি। যে তিনজন আইনজীবী, তাদের মধ্যে একজন নারী ব্যরিস্টার গ্রেফতার হয়েছেন। এটা কী আমাদের জন্য একটা অশনি সংকেত না ? আমরা আইনজীবীরা কোনোদিনই চরমপন্থা বা টেরোরিস্টের দিকে যাইনি। এটি এখন নতুনভাবে একটি জিনিস দেখা যাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা যদি এসব কথা বলে থাকেন তাহলে আইনজীবীরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন বলেও উল্লেখ করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, এতে সমস্ত আইনজীবীকেই অপমান করা হয়েছে।
মাহবুবে আলম বলেছিলেন, আমরা নিজেরাও এ কাতারে যুক্ত হলাম, এটা খুবই দুঃখের বিষয়। এ ব্যাপারে আমাদের এখনই সচেতন থাকতে হবে। হুঁশিয়ার থাকতে হবে।
জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেন, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা দুঃখজনক। তবে বিচারে তিন আইনজীবীর বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে আমরা তাদেরকে সমর্থন করবো না।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’কে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি দলীয় সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়েসহ তিন আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতার হওয়া তিনজন হলেন, ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা (৩৯), অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান লিটন (৩০) এবং অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপন (২৫)। এর মধ্যে শাকিলা ফারজানা ও লিটন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
Discussion about this post