একে.এম নাজিম, হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১৩ নং দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের ১১টি সড়কের বেহাল অবস্থা হয়েছে। সাম্প্রতিক কালের প্রবল বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও হালদা নদীর জোয়ারের তোড়ে এ অবস্থা হয়েছে। এতে করে ইউনিয়নের অভ্যন্তরিন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে জন দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
জানা যায়, উপজেলার আওতাধীন দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নটি একটি জন বহুল গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের মদুনাঘাট থেকে বিকল্প সড়ক পথে উত্তর মাদার্শা,গড়দুয়ারা এবং উত্তর হাটহাজারীর বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং হাটহাজারী-রাউজান মহাসড়ক হয়ে রাঙ্গামাটি ও ফটিকছড়ি যাতায়তের বিকল্প মাধ্যম দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের বিকল্প সড়ক গুলি। সাম্প্রতিক কালের লাগাতার প্রবল বর্ষণ,পাহাড়ি ঢল ও হালদা নদীর জোয়ারের তোড়ে এ ইউনিয়নের ১১ টি সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এতে করে এসব সড়ক দিয়ে জন চলাচল দূরূহ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়–য়া শিক্ষার্থী,বয়স্ক লোকজন,অসুস্থ মুমুর্ষ রোগী এবং সন্তান সম্ভাবা রোগীদের উপজেলা সদরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নগরীর কোন হাসপাতালে ও বেসরকারী ক্লিনিকে নিতে সীমাহীন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বর্ষণ,বন্যা পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়নের সড়ক সমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক গুলো হচ্ছে বোয়ালিয়া সড়ক,আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন সড়ক,মধ্যম মাদার্শা বটতলী লিংক রোড়,কাটাখালী সড়ক,মধ্যম মাদার্শা আজম সড়ক,বিনি মিস্ত্রি বাড়ী সড়ক,ড: ছানাউল্লাহ সড়কের বড়–য়া পাড়া অংশ,আহমদি পাড়া সংযোগ হাজী সোনামিয়া সড়ক,আতর আলী মিস্ত্রি সড়ক,ড:ছানাউল্লাহ সড়ক,ও দাতারাম চৌধুরী সড়ক। এসব সড়ক একেবারে জনচলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে।১৩ নং দক্ষিণ মাদার্শা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান,ইউনিয়নের আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন সড়কটি বিগত সময়ের বর্ষণ পাহাড়ি ঢল ও হালদা নদীর জোয়ারের তোড়ে একে বারে জনচলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই সড়ক দিয়ে দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের উত্তরাংশ এবং উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের দক্ষিণাশের বিপুল সংখ্যক জনগণ ছাড়াও স্থানীয় মাদার্শা আকবরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,আকবরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ,আকবরশাহ দাখিল মাদ্রাসা,আকবরিয়া কিন্ডার গার্ডেন স্কুল,দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়ন পরিষদ,স্থানীয় ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক লোকজন ও শিক্ষার্থী চলাচল করে। বর্তমানে সড়কটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বৃষ্টি বন্যা ও হালদা নদীর জোয়ারের তোড়ে সড়কের এ অবস্থা হয়েছে। প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে সড়কটি সংস্কার মেরামত করা হলেও হালদা নদীতে বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ার ও ঢলের তোড়ে সড়কটি নষ্ট হয়ে যায়। সড়কটি প্রয়োজনীয় সংস্কার মেরামতের জন্য অর্ধকোটি টাকা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। অন্যথায় কম বরাদ্ধ দিয়ে সড়কটি মেরামত করা হলে এইটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।তিনি হালদার ভাঙ্গনে এ সড়ক সংলগ্ন নতুন সমিতির হাট (রামদাশ মুন্সির হাট),আয়ুব আলীর মিস্ত্রির বাড়ী ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানান। তিনি জানান উল্লেখিত এলাকার হালদার ভাঙ্গন রোধের জন্য ৫/৬ বছর পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ টিকাদারের মাধ্যমে কিছু পাথরের ব্লক তৈরি করে রাখলেও ভাঙ্গন রোধের ব্যাপারে ব্লক গুলো অজ্ঞাত কারণে ব্যবহার করা হয়নি। এতে একদিকে নদীর ভাঙ্গন ভয়াভহ আকার ধারণ করেছে অন্যদিকে ব্লক গুলো সংরক্ষণ করতে গিয়ে প্রায় ৫০ শতক জমির ৫/৬ বছর পর্যন্ত চাষাবাদ ব্যবহত হয়েছে। ইতিমধ্যে শুনাযাচ্ছে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ ব্লক তৈরি ও ভাঙ্গন রোধে জন্য বরাদ্ধের অর্থ টিকাদারকে পরিশোধ করে দিয়েছে। যথাসময়ে যদি ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হত তাহলে বিস্তীর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হত না এবং চাষাবাদের ও ক্ষতিসাধিত হত না। ইউপি চেয়ারম্যান অভিলম্ভে হালদা নদীর ভাঙ্গন রোধ এবং ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক সমূহ সংস্কার মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের আশু প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন।
Discussion about this post