প্রায় ২৫ বছর আগের একটি দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। অভিযোগ গঠন নিয়ে জটিলতায় গত ২১ বছরে তিন আসামির মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সাবেক মেয়রও।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর রহুল আমিন এ আদেশ দিয়েছেন।
বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালতে আসামিপক্ষ ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫ (সি) ধারায় সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে অব্যাহতির আবেদন দিয়েছিলেন। উভয়পক্ষে শুনানি শেষে আদালত আসামিপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তহবিল থেকে ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৯ অক্টোবর তিনজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক মনজুর আহমেদ। মামলায় অভিযুক্ত তিনজন হলেন ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চসিকের মেয়রের দায়িত্ব পালনকারী জাতীয় পার্টির নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী এবং চসিকের তৎকালীন দুই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শামসুল হক ও শান্তিপদ সেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ঠিকাদারদের বিল থেকে এক শতাংশ হারে কেটে একটি নির্দিষ্ট তহবিলে জমা করার জন্য দুই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এ হিসেবে জমা হওয়া প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা সেসময় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে দেয়া হয়। বাকি ১৩ লক্ষ টাকা মেয়র নিজের তহবিলে স্থানান্তর করেন।
ওই মামলায় ১৯৯৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। গত ২১ বছর ধরে দফায় দফায় অভিযোগ গঠনের সময় নির্ধারিত হয়। আদালতের পক্ষ থেকে তহবিল সংক্রান্ত কাগজপত্রও চাওয়া হয় চসিকের কাছে। কিন্তু চসিক জানায়, তাদের কাছে তহবিল সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র নেই।
এর মধ্যে শান্তিপদ সেন ও শামসুল হক মারা গেছেন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার ছিল অভিযোগ গঠনের নির্ধারিত দিন। এদিনও চসিক কোন কাগজপত্র দাখিল না করায় আসামিপক্ষ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানান। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষে শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আদেশ দেন।




Discussion about this post