অথচ ভোটার তালিকায় ওইসব ব্যক্তির কোনো নাম নেই। কেন না, দুই জায়গায় নিবন্ধন করায় ওই সব ব্যক্তিকে কোথাও ভোটার করা হয়নি। কিন্তু অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তায় ঠিকই তুলে নিয়েছেন এনআইডি।
সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে ইসি কর্মকর্তাদের নজরে আসে বিষয়টি। আর এ ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রকিবউদ্দীন আহমদ বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করতে বলেছেন সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীনকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২৯ হাজার ৪০৮ জন ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছেন। কিন্তু ভোটার তালিকায় তাদের নাম নেই। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করতে সিইসি নির্দেশনা দিয়েছেন।
এছাড়া ওই নির্দেশনায় সিইসি একটি নোটও দিয়েছেন। এতে লেখা হয়েছে-কোনো ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বা জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নিলে বা ভোটার হলে তা অপরাধ। আর যে কোনো অপরাধের জন্য শাস্তি পাওয়া উচিত।
আইন অনুযায়ী, মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনআইডি সংগ্রহ করলে জড়িতদের ছয় মাসের জেলসহ অর্থ দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-সচিব বলেন, ‘দুই জায়গায় নিবন্ধন করে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে ইসির কোনো অসাধু কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারে।’
বর্তমানে দেশে ৯ কোটি ৬২ লাখ ভোটার রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৭ লাখ নাগরিকের এনআইডি দেয়নি ইসি।
Discussion about this post