তেল ও গ্যাসের দরপতনে সৌদি আরবের মতো কাতারের অর্থনীতিও হুমকির মুখে পড়েছে। দেশটির উদ্বৃত্ত চলতি বছর জুন মাসের তুলনায় কমে গেছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। আর গত বছর জুনের তুলনায় কমেছে ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
শনিবার (২৯ আগস্ট) কাতার সরকারের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
তরলিত প্রাকৃতিক গ্যাস ও অন্যান্য হাইড্রোকার্বন পদার্থই কাতারের মূল রফতানি পণ্য। গত বছর থেকে এসব পণ্যের দর পড়ে যাওয়ায় দেশটির অর্থনীতিতে পড়েছে বিরূপ প্রভাব।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় চলতি বছর জুলাইয়ে দেশটির রফতানি কমে গেছে ৪১ শতাংশ। একই সময় ব্যবধানে আমদানি বেড়েছে ১৩ দশমকি ৫ শতাংশ।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া কাতারের মূল বাণিজ্যিক মিত্র বলে পরিচিত। দেশটির তেল ও গ্যাসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা এই দুই দেশ। এর বিপরীতে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে গাড়ি, অন্যান্য যানবাহন ও যন্ত্রাংশ আমদানি করে কাতার।
তবে জাপান বাণিজ্য সংস্থার (জেট্রো) তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কাতার থেকে জাপানের তেল ও গ্যাস আমদানি কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কাতারের মোট রাজস্ব আয়ের ৯০ শতাংশ আসে তেল ও গ্যাস রফতানি থেকে। কিন্তু এ দুই পণ্যের দর পড়ে যাওয়ায় চলতি বছর এ আয় ২৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।




Discussion about this post