ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফর সংক্ষিপ্ত হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। জানা গেছে, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু চুক্তির পর ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার উদ্দেশ্যেই তার এই আকস্মিক সফর।
সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকাস্থ ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভ্যাজি। তিনি বলেন, “আমরা আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর তার সফর অনুষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ধরনের একটি প্রস্তাবনা এখানকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে এবং আমরা তার উত্তরের অপেক্ষায় আছি।”
দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়ানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইরানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সফরকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন জাওয়াদ জারিফ। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, তার একদিনের সফরে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
জাতিসংঘ ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক লেনদেন ও অন্যান্য সম্পর্কের কিছুটা হলেও যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল এই সফরের মধ্য দিয়ে তা কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বশক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তির পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বন্ধুপ্রতীম ও মুসলিম দেশগুলো সফর শুরু করেছেন। এরই মধ্যে তিনি লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, পাকিস্তান ও ভারত সফর করেছেন।




Discussion about this post