ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফরাসপুর গ্রামে মা ও মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এরা হলেন মা তাসলিমা খাতুন (৪০) ও মেয়ে তাসমিয়া ( দেড় বছর)।এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন তাসলিমা খাতুনের স্বামী নজরুল ইসলাম ও তার অপর মেয়ে উর্মি খাতুন (২০)।আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, রাতের খাবার খেয়ে নজরুল ইসলামসহ পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে হঠাৎ তারা ঘরে আগুন জ্বলতে দেখেন। বের হবার আগেই তারা সবাই দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তামলিমা ও তামমিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার আরো অবনতি হলে চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকা নিয়ে আসার পথে ফেরিতে তারা দু’জনেই মারা যান।
আজবাহার আলী শেখ জানান, নিহতদের পরিবারের ধারণা, আহত নজরুল ইসলামের বড় মেয়ের জামাই কামাল হোসেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
নিহতদের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, তিন বছর আগে যশোর শহরের লেবুতলার কামাল হোসেনের সঙ্গে নজরুল ইসলামের বড় উর্মির বিয়ে হয়। বিয়ে পর থেকে কামাল যৌতুকের জন্য উর্মির ওপর প্রায়ই নির্যাতন করত। এ কারণে কয়েক মাস আগে নজরুল ইসলাম মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ কারণে কামাল হোসেন গভীর রাতে তাদের ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন।




Discussion about this post