পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানসহ তিনজনের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় আসামিপক্ষে ও রাষ্ট্রপক্ষে পৃথক যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবীরা।
যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাঈদ আহমেদ।
এ সময় কারাগার থেকে ঐশী রহমান ও তার বন্ধু আসাদুজ্জামান জনিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতে বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মা-বাবা খুন হওয়ার পর পালিয়ে যায় ঐশী। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ১৭ আগস্ট ঐশী রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করে। এর পর ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেয় ঐশী।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত তিন আসামি হল- ঐশী রহমান, আসাদুজ্জামান জনি ও মিজানুর রহমান রনি (জামিনে)।
Discussion about this post