মানিলন্ডারিংয়ের বিচার করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান রেখে এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
এটি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১৫ (সংশোধন) অধ্যাদেশ নামে অভিহিত হবে।
অধ্যাদেশটিতে ২০১২ সালের ৫ নং আইনের ধারা ৯ এর সংশোধনে বলা হয়েছে- (১) অপরাধের তদন্ত ও বিচারে আপাতত অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ও বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ক্ষমতাপ্রাপ্ত এক বা একাধিক তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে গঠিত একাধিক তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যৌথ তদন্তকারী দল কর্তৃক তদন্ত করা যাইবে।
(২) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ criminal law (amendment) act, 1958 (actxl of 1958) এর section 3 এর অধীন নিযুক্ত স্পেশাল জজ কর্তৃক বিচার্য হইবে।
(৩) অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সত্তার সম্পত্তি অনুসন্ধান ও সনাক্তকরণের নিমিত্তে তদন্ত কর্মকর্তা এই আইনের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ৫নং আইনের প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।
(৪) তদন্তকারী সংস্থা এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে অবহিত করিতে পারিবে।




Discussion about this post