বিচারপ্রার্থীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত ও নিরবিচ্ছিন্ন করাই এই সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির মূল লক্ষ্য। কেননা গরিব ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল জনগোষ্ঠীর পক্ষে সুপ্রীম কোর্টে সামষ্টিকভাবে আইনি সেবা নেওয়া সম্ভবপর নয়, কিন্তু এটি তাঁর আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকার বলেছেন-সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক। গত সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিতব্য সভায় এ কথা বলেন।<br /> সুপ্রীম কোর্টে লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা জানেন, লিগ্যাল এইডের মামলার যাবতীয় ব্যায় রাষ্ট্র বহন করে থাকে, এখানে বিচারপ্রার্থীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত ও নিরবিচ্ছিন্ন করাই এই সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির মূল লক্ষ্য। কেননা গরিব ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল জনগোষ্ঠীর পক্ষে সুপ্রীম কোর্টে সামষ্টিকভাবে আইনি সেবা নেওয়া সম্ভবপর নয়, কিন্তু এটি তাঁর আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকার।<br /> কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এ.এম. মাহবুদ্দিন খোকন বলেন, পৃথিবীর সকল দেশেই লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করার ক্ষেত্রে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি গরিব-অসহায় মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র যে ভূমিকা অতীত থেকেই রেখে আসছে আমরা সেটি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট এ.এস.এম মোক্তার কবির খান (সহ-সভাপতি, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, সমিতি কর্তৃক মনোনীত), অ্যাডভোকেট মো: রাজিউদ্দিন সারোয়ার (বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মানোনীত), অ্যাডভোকেট আইনুন নাহার সিদ্দিকা (লিপি) (বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মানোনীত), রুমা সুলতানা (নির্বাহী পরিচালক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ, বোর্ড কর্তৃক মনোনীত), অ্যাডভোকেট একরামুল হক (ডেপুটি অ্যাটর্নি-জেনারেল, অ্যাটর্নি-জেনারেল কর্তৃক মনোনীত), মোহা: রকিবুল ইসলাম (ডেপুটি ডিরেক্টর, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা, বোর্ডে চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত)।<br /> আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ অনুসারে সুপ্রীম কোর্টে লিগ্যাল এইড কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট ‘সুপ্রীম কোর্ট কমিটি’ গঠন করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. নিজামুল হক কে চেয়ারম্যান করে এই কমিটি গঠিত হয়। মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে আইনজীবীর ব্যয়ভার বহন করবে সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।<br /> সুপ্রীম কোর্টে ২০০৯ সাল থেকে খুব অল্প পরিসরে শুধু জেল-আপিল মামলায় লিগ্যাল এইড এর কার্যক্রম শুরু হয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সময়ের ব্যবধানে সুবিধাবঞ্চিত এই জনগোষ্ঠী শুধুমাত্র জেল-আপিলের ক্ষেত্রে আইনি সেবা গ্রহণ করছেন। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৪৭টি এবং ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে এই সংখ্যা এসে দাড়ায় ২৬৭টি, যা পাঁচগুণেরও বেশি। উল্লেখ্য যে, ২০১৫’র মে পর্যন্ত মোট ১২৬২ জনকে শুধু জেল-আপিল মামলায় সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদশে সরকার দেওয়ানী/ফৌজদারী/মিসকেইস/লিভ-টু-আপিলসহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে আইনি সেবা দেওয়া সম্প্রতি চালু করেছে। সরকারের সাথে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ ২০১১ সাল থেকে সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে শক্তিশালীকরণে কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছে।</p>




Discussion about this post