বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে থানা ঘেরাও করা হয়েছে। ধূমপানের দায়ে এক ইউপি সদস্যকে অর্থদন্ড দেওয়ায় ওই বিক্ষোভ মিছিল করা হয় বলে<br /> জানা গেছে। গত শুক্রবার উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।<br /> প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে পৌর এলাকায় কয় দিন ধরে প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই কাজে নির্বাহী হাকিম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসেন পুলিশসহ বের হচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিলেন পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও আওয়ামী লীগ-মনোনীত মেয়র প্রার্থীর সমর্থক জিয়াউর রহমান। এ সময় তাঁর পাশে থাকা দুটি শিশু ধূমপানের ধোঁয়ার শিকার হচ্ছিল। এ ঘটনায় জিয়াউরকে ৩০০ টাকা অর্থদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।<br /> ওই ঘটনার জের ধরে স্থানীয় কয়েকজনসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিচারককে বহনকারী গাড়িটি যেতে বাধা দেন। একপর্যায়ে বিচারকের সঙ্গে থাকা পুলিশের সহায়তায় ইকবাল হোসেন থানায় আশ্রয় নেন। এ সময় পরে নেতা-কর্মীরা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।<br /> ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমাকে ব্যক্তিগত আক্রোশে জরিমানা করেছেন এসি ল্যান্ড। তাঁর (এসি ল্যান্ড) বাড়ি জামায়াত নেতা সাঈদীর এলাকায়। তাই তিনি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে চান।’<br /> নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার বলেন, আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে ওই ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ফুঁসে উঠেছে।<br /> পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি এম শাহনেওয়াজ বলেন, এসি ল্যান্ড থানায় অবস্থান করার সময় তাঁর বিরুদ্ধে থানার সামনে বিক্ষোভ চলছিল। তবে পুলিশ সদস্যরা সে সময় কঠোর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।<br /> পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুর রশিদ বলেন, যত বাধাই আসুক না কেন, নির্বাচনে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে থাকবে।</p>




Discussion about this post