চামেলিবাগের ভাড়াটিয়া সেজে পল্টন থানায় হাজির। চাই একটি তথ্য ফরম। থানায় এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষার পরেও মিললো না তথ্য ফরম। এক এসআই বলছেন আমি এর দায়িত্বে নেই অন্য কেউ আছেন। সত্যি বলতে চামেলিবাগের দায়িত্বে কে আছেন তাই জানতেই ঘণ্টা পার। দেড় ঘণ্টা পর জানা গেলো বিট পুলিশিংয়ের বিষয়গুলো দেখাভাল করেন এসআই সুজন। তিনি থানায় নেই। তিনি নেই বিধায় তথ্য ফরম পাওয়া আর হলো না।<br /> গত বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এই প্রতিবেদক ভাড়াটিয়া সেজে পুলিশের কাছে ফরম চাইলে এমন তথ্য উঠে আসে। এখানেই শেষ নয়, পল্টন থানার ৫ নং বিটের দায়িত্বে রয়েছেন এসআই মমিনুল ইসলাম। কাঙ্খিত এ এসআইকে ফোন করে জানা গেলো তিনি রয়েছেন শান্তিবাগে ডিউটিতে। তিনি ফিরবেন সন্ধ্যায়। দেখা করতে হলে অপেক্ষা করতে বললেন সন্ধ্যাঅবধি। নয়তো অন্য সময়ে আসতে হবে।<br /> আরও ঘণ্টাখানেক কথা বলার পর সাংবাদিক পরিচয় জেনেই শান্তিনগর এলাকার বিট পুলিশের এসআই এমএম হাসান একটি তথ্য ফরম হাতে ধরিয়ে দেন।<br /> সরেজমিনে দেখা যায়, শুধু পল্টন থানাই নয়, রাজধানীর অধিকাংশ থানারই একই দৃশ্য। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হয়রানি ও অন্য কেসে নিজেদের ফেঁসে যাওয়ার ভয়েই মূলত তথ্য দিচ্ছেন তারা। তবে থানা পুলিশের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেকেরই অভিযোগ। থানায় গিয়ে নিজেদের এলাকার ঠিকানা ও ফ্লাট নাম্বার বলেও যথা সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না তথ্য ফরম। এজন্য ঘুরতে হচ্ছে সকাল কিংবা বিকেল।</p>




Discussion about this post