রানা প্লাজা নির্মাণে দুর্নীতির মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পিছিয়ে আগামী ৬ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (০১ মার্চ) অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু আদেশ সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মোহাম্মদ আতোয়ার রহমান আদেশের জন্য নতুন ওইদিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক আদেশের জন্য ১ মার্চ ধার্য করেছিলেন।
মামলাটিতে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, তার বাবা আব্দুল খালেক, মা মর্জিনা বেগমসহ ১৮ জন আসামি করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- মোহাম্মদ আলী খান, এনায়েত হোসেন, রেফাত উল্লাহ, বজলুল সামাদ আদনান, মাহমুদুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, আনিছুর রহমান ও সরোয়ার কামালসহ প্রমুখ।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, সোহেল রানা ও তার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম রানা প্লাজা নামের একটি বিপণিকেন্দ্র নির্মাণের জন্য তন্ময় হাউজিং লিমিটেড নামের একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী, ওই প্রতিষ্ঠানটি ভবনের দোতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সোহেল রানা ওই প্রতিষ্ঠানকে বিদায় করে দেন। পরে নিজেরাই ছয়তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেন। বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে সেখানে পোশাকের কারখানা স্থাপন কর হয়। এরপর ছয়তলা ভিত্তির এ ভবনকে ১০তলা করতে সাভার পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে নয় তলা পর্যন্ত কাজ শেষ করা হয়।
পরবর্তী সময়ে রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক এসএম মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাভার থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের ওই কর্মকর্তা সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রকিবুল ইসলাম রাসেল (প্রকৌশলী) ও সোহেল রানা এখন কারাগারে আছেন। মামলায় বর্তমানে ১৩ জন জামিনে আছেন। তিনজন পলাতক।
মামলার এজহার থেকে আরও জানা গেছে, নকশাবহির্ভূতভাবে নয়তলা ভবন নির্মাণ, সাভার পৌরসভা থেকে অবৈধভাবে পোশাক কারখানা স্থাপন করার অনুমোদন ও গার্মেন্টস ব্যবসা পরিচালনা করে আসামিরা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
Discussion about this post