
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বাদ দিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মীর কাসেম আলীর আপিলের পুনরায় শুনানির দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (০৫ মার্চ) রাজধানীতে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ দাবি তোলেন।
ধানমন্ডির বিলিয়া মিলনায়তনে ‘একাত্তরের গণহত্যাকারীদের বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: সরকার, বিচার বিভাগ ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনায় খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গোলটেবিলের আয়োজক একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি।
খাদ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো বিএনপি-জামায়াতের, তার সত্যতা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব রাষ্ট্রপক্ষের মামলা সঠিকভাবে পরিচালনা করা। তিনিও (অ্যাটর্নি জেনারেল) একই সুরে কথা বলছেন।’
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মীর কাসেম আলীর রায় নিয়ে এত কথা হচ্ছে। এর বেশি কিছু আমি বলতে চাই না। প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে এই মামলার শুনানি হওয়া উচিত। রাষ্ট্রের প্রধান কৌঁসুলিকেও (অ্যাটর্নি জেনারেল) এই মামলা পরিচালনা থেকে বিরত রাখা উচিত। নইলে আমরা বিচার পাব না।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৪৫ বছরে অনেক প্রধান বিচারপতি এসেছেন। তাঁর মতো অতিকথন কারও দেখিনি। তাঁর অতিকথনে সরকার বিব্রত হচ্ছে। সুধী সমাজ বিব্রত হচ্ছে। এসব বন্ধ করা উচিত।’
মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করব, আপনি আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিন। নইলে এ পদে থাকার কতটুকু সুযোগ আছে, তাঁর ওপরই সেটা রাখতে চাই।’ বিচারপতিরা আইনের ঊর্ধ্বে নন এবং আইনের বাইরে কারও হাত বড় নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গোলটেবিলে আরও বক্তব্য দেন ‘জনকণ্ঠ’-এর নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, ‘সংবাদ’-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মনিরুজ্জামান, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বিচারপতি শামসুল হুদা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ প্রমুখ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় ৮ মার্চ দেওয়ার কথা রয়েছে।




Discussion about this post