
আদালতের রুলের জবাব দিতে সময় চাইবেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। মন্ত্রী বলেন, এক সম্মেলনে যোগ দিতে আজ তিনি মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। ১৬ বা ১৭ মার্চ দেশে ফিরবেন। এ জন্য মন্ত্রী আদালতের কাছে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চাইবেন। দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। টিভিতে দেখেছেন যে রুল-নিশি জারি হয়েছে। হয়তো আদেশের কাগজও পেয়ে যাবেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি কাজ করবেন। তবে আজ মালয়েশিয়ায় একটি সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন। এ বিষয়ে ২ মার্চ সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। এ জন্য তিনি জবাব দিতে সময় প্রার্থনা করবেন। আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনার জন্য তিনি বলে যাবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তা একজন মন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। একজন বিচারপ্রার্থী হিসেবে তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন, তবে তিনি যে একজন মন্ত্রী, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।’
খাদ্যমন্ত্রী মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকায় আনন্দ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, এর ভাষা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এতে তিনি খুবই আনন্দিত।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই দুজনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রচারিত কিছু সংবাদে বিচার বিভাগ নিয়ে অশোভন ও অবমাননাকর মন্তব্য দেখে আদালত স্তম্ভিত। এসব মন্তব্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল বলে আদালত মনে করেন।




Discussion about this post