
যৌতুক মামলায় পুলিশের কনস্টেবল ইমরান হোসেন সবুজ ওরফে মাহামুদুল হাসানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শাজাহান আলী এ নির্দেশ দেন।
পুলিশ ইমরান হোসেন নড়াইল সদরের ভুয়াখালি গ্রামের আবু বক্কার মোল্লার ছেলে ও খুলনা জেলা পুলিশের কনস্টেবল।
মামলা সূত্রমতে, ২০১৪ সালে ইমরান হোসেন প্রেম করে যশোরের বাঘারপাড়ার নওয়াপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লার মেয়ে নিলা খাতুনকে বিয়ে করেন। কয়েক মাস পরেই আসামি সবুজ তার স্ত্রী নিলার কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতন শুরু করেন। ২০১৫ সালের ৬ জুন সবুজ যৌতুকের টাকা দাবি করে তার স্ত্রী নিলাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। ১৯ জুলাই মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে ২৩ জুলাই সবুজকে আসামি করে আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন নিলা। বিচারক অভিযোগ গ্রহণ করে আসামির প্রতি সমন জারির আদেশ দেন। আসামি সবুজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে বিচারের জন্য বদলি করা হয়। মঙ্গলবার এ মামলার অভিযোগ গঠনের ধার্যদিন ছিল। বিচারক মামলার শুনানি শেষে আসামি সবুজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ দিন সন্ধ্যায় তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে খুলনা পুলিশ লাইনের আরআই আমজাদ হোসেন বলেন, কনস্টেবল ইমরান যশোর আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার কথা বলে একদিনের ছুটি নিয়ে গেছেন। পরবর্তীতে জানতে পেরেছি তাকে একটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আরো ব্যবস্থা নেয়া হবে।




Discussion about this post