কম বয়সে আবেদন দাখিল করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)’র কর বিভাগের এক কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহি কাজি মো.শফিউল আলম বলেন, কম বয়সে চাকরির আবেদন এবং চাকরি নেওয়ার অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় কর কর্মকর্তা নরুল আলমকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
গত বুধবার(১৬ মার্চ) নির্দেশনাটি আমি হাতে পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তার ফাজিল পরীক্ষার সনদ ইস্যুর তারিখ, আবেদনের তারিখের সঠিকতা যাচাই, ওই পদে নিয়োগের যোগ্যতা এবং চাকরিতে আবেদনের সময় তার উপযুক্ত যোগ্যতা ছিল কিনা তা যাচাই করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মো. আবদুর রউফ মিয়া স্বাক্ষরিত ১৩ মার্চ এক পত্রে (স্মারক নং – ৪৬.০০.০০০০.০৭১.২৭.০০১.১২(অংশ-২).৮৩ ) এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এটি ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে এসে পৌঁছে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, নুরুল আলম উচ্চ আদালতের মামলা খারিজের বিষয় গোপন করে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে বহাল রয়েছেন। এর আগেও চসিক’র এই ভারপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তার (রাজস্ব সার্কেল-২) বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দাপ্তরিক নিয়ম শৃংখলা বহির্ভুত কাজের অভিযোগে বদলী করা হয়। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে অন্য বিভাগে বদলী না হয়ে নুরুল আলম উপ-কর কর্মকর্তা থেকে ভারপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তা(রাজস্ব সার্কের-২) হিসেবে পদোন্নতি পান।
সূত্র জানায়, নুরুল আলম ৮৮ সালের ৮ নভেম্বর দাখিল পরীক্ষার পাশের সনদ দিয়ে সহকারী কর আদায়কারী হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে যোগ দেন। তার শিক্ষা সনদ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চাকরিতে প্রবেশের সময় দাখিলের সনদ অনুযায়ী তার বয়স ছিল ১৭ বছর নয় মাস ১৮ দিন। অথচ সরকারি বিধি অনুযায়ী বয়সের সময়সীমা সর্বনিম্ম ১৮ বছর। এয়াড়া তার ফাজিল পরীক্ষার সনদ জাল বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯৮৯ সালের ১৬ নভেম্বর তার ফাজিল পরীক্ষার সনদ ইস্যু করা হয়। কিন্তু তার সনদের সত্যায়িত কপিতে সাক্ষর রয়েছে ১৯৮৯ সালের ২ নভেম্বর।




Discussion about this post