
‘চা শ্রমিকদের (পিতা-মাতার) নামে (ভূমি) সম্পত্তি না থাকলে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি হবে না’ পুলিশ সদর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট গত বুধবার এই রিট আবেদন করে বলে জানান তারা।
জানা যায়, বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল পদে গত বছরের ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে আবেদনপত্রে ইউপি চেয়ারম্যান/সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা কতৃক প্রদত্ত সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংযুক্ত করতে বলা হয়।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত সনদপত্র ও পরিচয়পত্র জমা দিয়ে মৌলভীবাজার জেলার চা বাগানের বাসিন্দা কলিন্স রোজারিও ও রাজু প্রসাদ করি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বাছাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তারা উভয়েই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু গত ২৭ জানুয়ারি মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ওই দুই তরুণ যে এলাকার বাসিন্দা (কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ) সেই থানার ওসিকে চিঠি দিয়ে উল্লেখ করেন যে, ওই দুই তরুণের ভূসম্পত্তি না থাকায় তাদের নাম পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, এতিম কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ভূসম্পত্তি থাকার প্রয়োজন হবে না।
নাগরিকত্ব ও স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার প্রমাণ স্বরূপ এতিমদের যদি ভূসম্পত্তির প্রয়োজন না হয়, তাহলে সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্য নাগরিকদের ভূসম্পত্তি থাকতে হবে এই শর্তকে মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে করেই পুলিশ সদর দফতরের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির উক্ত বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।




Discussion about this post