শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর তিনটা ২৫ মিনিটে শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলামের আদালত।
পল্টন থানায় গত বছরের আগস্টে দায়ের হওয়া ওই মামলায় সকাল ৮টায় শফিক রহমানকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের একটি দল। রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর দুইটার দিকে তাকে নিয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হয় পুলিশ। দুইটা ২০ মিনিটের দিকে আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয় শফিক রেহমানকে।

দুপুর তিনটায় আদালতের এজলাসকক্ষে নিয়ে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র এএসপি হাসান আরাফাত।

শফিক রেহমান বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একজন বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত। তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো দেখতেন বলেও দাবি করেছে বিএনপি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিবি’র উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার দাবি করেন, শফিক রেহমান ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।

ডিবি’র অপর উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসরুকুর রহমান খালেদ জানান, ২০১৫ সালের ০৩ আগস্ট সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার প্রেক্ষিতে পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলাটিতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাদের সহ সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছিলো। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন পল্টন থানার এসআই মোজাম্মেল হক। পরে মামলার তদন্তভার পায় ডিবি পুলিশ।

তিনি জানান, মামলার সাক্ষগ্রহণের পর তদন্ত কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের ওই হামলার ঘটনায় শফিক রেহমানের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পান। তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে আসামি তালিকাভুক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমান ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে এসেছেন বলেও জানান মাসরুকুর রহমান খালেদ।