রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জুয়াড়িদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২৫ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
নিহত ব্যক্তি হলেন হারাগাছ পৌর এলাকার মুন্সিপাড়া মহল্লার আনিসুল হকের ছেলে আজিজুল ইসলাম (২৬)। আর আহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গেছে। এ দু’জন হলেন ভেলনাগাড়ী গ্রামের মাহা আলমের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৬), ফাতামটারী গ্রামের মনিরুলের ছেলে বিপুল মিয়া (১৫)। দু’জনই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের পুলিশি পাহারায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর আহত পুলিশ সদস্য হলেন কনস্টেবল ফয়জুর রহমান। তাকে পুলিশ লাইন মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, সাদা পোশাকধারী কয়েকজন পুলিশ এসে এলাকায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলেন। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় স্থানীয়দের। এক পর্যায়ে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। তখন পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করেন।
এসময় আজিজুল দৌড়াতে গিয়ে হঠাৎ পড়ে যান। আহতাবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
তবে পুলিশের দাবি, আজিজুল হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। পুলিশের পিটুনিতে তার মৃত্যু হয়নি।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশের ওপর হামলা, ফাঁড়ির সামনে আগুন ও পুলিশকে মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সাইদুল ও বিপুলসহ অজ্ঞাতনামা কিছু লোককে আসামি করে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েই মারা গেছেন আজিজুল। এলাকায় পুলিশ বিজিবি ও ৠাবের টহলসহ অতিরিক্ত নিরাপত্তা রয়েছে।




Discussion about this post