শাহজালালে ১শ’ গ্রাম করে ওজনের ৬টি স্বর্ণের বার প্রসব করলেন নুর আলম (৩২) নামে এক যুবক।
মঙ্গলবার (৩ মে) সকালে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
খুলনার এ যুবক সোমবার (০২ মে) রাত সাড়ে ১২টায় মালয়েশিয়া থেকে দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছান।
ড. মইনুল খান বলেন, নুর আলমের বাবার নাম মো জাকির খান, পাসপোর্ট নং BB 0750750। তিনি মালয়েশিয়া থেকে রাত সাড়ে ১২টায় শাহজালালে ওডি১৬২ যোগে অবতরণ করেন।
বেল্ট নং ৬ থেকে ব্যাগ নিয়ে আনমনে বের হচ্ছিলেন নুর আলম। তিনি টের পাননি, বেরসিক শুল্ক গোয়েন্দার দল তাকে নজরদারি করছে। শনাক্ত হওয়ার পর স্বাভাবিক হাওয়ার চেষ্টা। প্রতিবাদ করেন জিজ্ঞাসাবাদে। হুমকিও দেন কঠিন ভঙ্গিতে।
শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা নাছোর বান্দা। পাসপোর্ট নিয়ে চেক করে দেখা যায়, তিনি বহুবার বিদেশ সফর করেছেন। পেশার সঙ্গে এই ভ্রমন বেমানান। গত পাঁচ মাসে তিনি ছয় বার বিদেশ গিয়েছেন। নুর আলমকে কাস্টমস হলে হাঁটানো হলো। ব্যর্থতায় এক্সরে, অপারেশন বুঝানো হলো গোয়েন্দা হস্তক্ষেপ সম্পর্কে। বলা হলো, পেটের ভেতরে লুকিয়ে রাখা স্বর্ণ রাষ্ট্রের সম্পদ। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার চেষ্টার পর তিনি বুঝলেন, এদের থেকে রক্ষা নেই। তাকে ৪ গ্লাস পানি পান করালেন। এক নং বেল্টের নিকট টয়লেটে নেওয়া হলো নুর আলমকে। সঙ্গে গোয়েন্দা দুইজন। একেক করে তিনটি প্যাকেটে ৬টি সেনার বার বের করে আনলেন। নিজেই হাতে করে আনলেন, রাখলেন টেবিলে। এরপর শুয়ে পডলেন তিনি। প্রসব করা এই মানুষটাকে সুস্থ্য করা হলো জুস ও দুধ খাইয়ে। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে রেক্টামে বিশেষভাবে লুকিয়ে রেখেছিলেন এই স্বর্ণ। তার ব্যাগ তল্লাশি করে পাওয়া গেলো আরো ১০০ গ্রাম ওজনের সোনার চেইন। মোট স্বর্ণ ৭০০ গ্রাম, যার বাজার মূল্য ৩০ লাখ টাকা।
এছাড়া তার কাছ থেকে ১০০০ এমএল যৌন উত্তেজক জেলও উদ্ধার করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাকে যেতে হলো থানা হাজতে।
Discussion about this post