প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আগামী বছর (২০১৭ সাল) থেকে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে। ২ হাজার ৯৬৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন redundancy সুবিধাসহ নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই উৎক্ষেপণ চালু হলে সমগ্র বাংলাদেশের স্থল ও জলসীমায় নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচারের নিশ্চয়তা হবে। এছাড়া বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বার্ষিক ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয়সহ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
বুধবার (০৪ মে) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলামের এ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে মোট ৪০টি ইজারা থাকবে। এর মধ্যে ২০টি বাংলাদেশের জন্য ব্যবহৃত হবে এবং ২০টি দ্বারা মধ্যপ্রাচ্য ও পাশ্ববর্তী দেশসমূহে লিজ প্রদানের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সম্ভব হবে। এছাড়া মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ টেরিস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল রাখা যাবে।’
বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. নুরুল ইসলাম ওমর জানতে চান- দেশে শিক্ষিত বেকার ও সাধারণ বেকার যুবক-যুবতীদের বেকারত্ব দূর করতে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ বেকার যুবকদের বেকারত্ব দূরীকরণ ও যুবসমাজকে কর্মমুখি করে গড়ে তুলতে সরকার নানামুখি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যুব সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে ৬৪টি জেলা ও ৪৯৫টি উপজেলায় ১০টি মেট্টোপলিটন ইউনিট থানাসহ মোট ৭৪টি ট্রেডে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকার যুব উন্নযন অধিদপ্তরের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত যুবদের প্রকল্প স্থাপন ও সম্প্রসারণের জন্য অধিদপ্তরের ঋণ কর্মসূচির আওতায় ঋন প্রদান করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা দেশে বেকার যুব সমাজকে কর্মমুখি করে গড়ে তুলতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় সরকারি উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে।’
মহিলা আসন-১ এর সংসদ সদস্য মোছা. সেলিম জাহান লিটার এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে অটিস্টিক শিশুদের সুরক্ষায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নিরলস পরিশ্রম করছে। তার এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সরকার দেশের প্রতিটি অটিস্ট্রিক শিশুর দায়িত্ব গ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের অটিস্টিক শিশুসহ সকল প্রতিবন্ধী জনগোষ্টীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩ প্রণয়ন করেছে। এই আইনদ্বয়ের বিধিমালা-২০১৫ ইতোমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণের পরিকল্পনা রয়েছে।’
Discussion about this post