এই প্রথম মহাকাশে একটি লেজাবহীন ধূমকেতুর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। শুক্রবার মার্কিন বিজ্ঞান গবেষণা জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্স’র প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এর আগে কখনো এ ধরনের ধূমকেতুর দেখা পাননি মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। নতুন এই আবিষ্কার সৌর প্রণালীর গঠন এবং বিবর্তন সম্পর্কিত দীর্ঘদিনের ধারণা বদলে দিতে পারে।
লেজবিহীন বেড়াল ‘মানক্স’র নামানুসারে ধূমকেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ‘মানক্স ধূমকেতু’। বেশিরভাগ ধূমকেতুই মূলত বরফ এবং অন্য জমাটবদ্ধ যৌগিক পদার্থ দিয়ে গঠিত। তবে এই মানক্স ধূমকেতু সাধারণত পৃথিবীর কাছাকাছি পাওয়া যায় এমন এক ধরনের শিলাময় বস্তু দ্বারা গঠিত।
গবেষকদের ধারণা, নতুন সন্ধান পাওয়া ওই ধূমকেতুটি পৃথিবীর মতোই কোনো একটি গ্রহে তৈরি হয়েছে। এরপর এটি মহাকর্ষীয় স্লিংশটের মতো করে সৌর প্রক্রিয়ায় এসে যুক্ত হয়েছে এটি। বর্তমানে আর কয়টি মানক্স ধূমকেতুর অস্তিত্ব আছে তা নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এটা জানা গেলে সৌর প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরো অনেক তথ্যই বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, ধূমকেতু একটি ক্ষুদ্র বরফাবৃত সৌরজাগতিক বস্তু যা সূর্যের খুব কাছ দিয়ে পরিভ্রমণ করার সময় দর্শনীয় ‘কমা’ (এক ধরনের পাতলা, ক্ষণস্থায়ী বায়ুমণ্ডল) এবং কখনো লেজও প্রদর্শন করে। ধূমকেতুর নিউক্লিয়াসের ওপর সূর্যের বিকিরণ ও সৌরবায়ুর প্রভাবের কারণেই এমনটি ঘটে।
ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস বরফ, ধূলা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথুরে কণার একটি দুর্বল সমন্বয়ে গঠিত। এগুলো প্রস্থে কয়েকশ মিটার থেকে ১০ কিলোমিটার এবং লেজ দৈর্ঘ্যে কয়েকশ কোটি কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। মানুষ সুপ্রাচীন কাল থেকেই ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করছে।
Discussion about this post